দৈনিক ধর্ষণের সংখ্যা চার-পাঁচটির বেশি। সেই সঙ্গে নারী নির্যাতন তো আছেই। পাকিস্তানে এই প্রদেশে ধর্ষণের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। চিন্তিত প্রশাসন। দমনপীড়নের পরেও কমছে না ধর্ষণের সংখ্যা। তাই ধর্ষণ রুখতে এবার নয়া দাওয়াই 'জরুরি অবস্থা'। সেদেশের স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে তেমনটাই খবর।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কর্তৃপক্ষ নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বিগ্ন। উপায়ান্তর না পেয়ে কার্যত বাধ্য হয়ে 'জরুরী অবস্থা' ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশের কর্তৃপক্ষ। পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্তা তারার রবিবার বলেছেন, "প্রশাসনকে ধর্ষণ মামলা মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য করা হয়েছে।"
সেদেশের বর্তমান আইনমন্ত্রী মালিক মুহম্মদ আহমেদ খান জোর দিয়ে বলেছিলেন, ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় মন্ত্রিসভা কমিটি দ্বারা সমস্ত মামলা পর্যালোচনা করা হবে। সুশীল সমাজ, নারী অধিকার সংস্থা, শিক্ষক এবং আইনজীবীদের সঙ্গেও প্রয়োজনে পরামর্শ করা হবে। এই ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে নজর থাকবে। যদিও তারপরও কোন ভাবেই আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষত পাঞ্জাব প্রদেশে উত্তরোত্তর বাড়ছে ধর্ষণের সংখ্যা।পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্তা তারার অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তাঁদের সন্তানদের নিরাপত্তার গুরুত্ব সম্পর্কে শেখানোর জন্য এবং বাড়ির লোক ছাড়া তরুণীদের বাড়ির বাইরে একা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন যে দ্রুত ট্র্যাকের ভিত্তিতে ডিএনএর নমুনা নেওয়ার জন্য পাঞ্জাব ফরেনসিক সায়েন্স এজেন্সির ভূমিকা উন্নত করা হবে। ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সোমবারের পরে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, অভিজাত স্কুল-কলেজে মাদক গ্রহণ একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, যা অপরাধের গ্রাফ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এমনিতেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত, তার উপর ক্রমশ নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমশ চাপ বাড়ছে।