ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই এমন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ খুবই কম আছেন। বছর ষোলোর কিশোরী কিংবা ষাটোর্ধ্ব ঠাকুমা, আজকাল ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন। ধীরে ধীরে সবচেয়ে জনপ্রিয় গনমাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতে টাকা লাগে না। তাই তো দিনপ্রতি এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর সেইসাথে বাড়ছে ফেক অ্যাকাউন্টের পরিমাণও। অহরহ ঘটছে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা। আর এইজন্যই সুরক্ষার খাতিরে ২০২১ সালে ফেসবুক চালু করেছিল ফেসবুক প্রোটেক্ট ফিচার। এটি একটি ঐচ্ছিক প্রোগ্রাম যা নির্বাচনী প্রার্থী, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা প্রদানে অধিক সক্রিয়। এই সকল টার্গেট অডিয়েন্সদের ইমেলও পাঠানো হয়েছিল নিম্নলিখিত বয়ানে: "আপনার অ্যাকাউন্টের Facebook Protect থেকে অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি প্রয়োজন।"
ফেসবুকের ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, "নিরাপত্তার জন্য আমাদের চলমান উন্নতির অংশ হিসাবে, আমরা ফেসবুক প্রোটেক্টকে প্রসারিত করছি, এমন একটি প্রোগ্রাম যা মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক এবং সরকারী কর্মকর্তারা হ্যাকারদের দ্বারা লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন। এমন ব্যক্তিদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এই ফেসবুক প্রোটেক্ট।" কিন্তু সমস্যা হল, বহু মানুষই এই ইমেইলকে স্প্যাম অর্থাৎ ভুল মেইল হিসেবে গন্য করেছিল। যার ফলে তারা বিষয়টিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেন। উল্লেখ্য, এই প্রোটেক্ট চালু করার সময়সীমা ছিল ১৭ মার্চ পর্যন্ত। যারা মেইলটি উপেক্ষা করছিলেন গাইডলাইন অনুযায়ী তাদের অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যায় ফেসবুকের পক্ষ থেকে।
এমতবস্থায় অলিভিয়া থিসেন নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ট্যুইটারে এসে লেখেন, "আমি আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য Facebook থেকে লগ আউট হয়ে গেলাম কারণ আমি এর নতুন Facebook Protect সিস্টেম সম্পর্কে FB র ইমেলের প্রতিক্রিয়া জানাইনি, যা আমাকে আজ চালু করতে হবে।" শন ডকেট নামক আর একজন লিখেছেন, "আমি এখনও লগ আউট করিনি, কিন্তু যখনই আমি এই ফিচার চালু করার চেষ্টা করছি, কোনো এসএমএস আসছে না। সত্যি বলতে, আমি যদি Facebook-এর থেকে লগ আউট হয়ে যাই, তবেই বেশী নিশ্চিত হব।" প্রসঙ্গত, যাদের কাছে এজাতীয় ইমেইল এখনও আসেনি, তাদের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে।