ইন্সটাগ্রামে রিল থেকে শর্টস, টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর এতেই মেতেছে ভারতীয় যুবসমাজের একটি বড় অংশ। তবে শুধু ভারতেই নয়, সমগ্র বিশ্বেরই একটি নির্দিষ্ট বয়সের তরুন-তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ফেসবুক মালিকাধিন ইন্সটাগ্রাম অ্যাপটি। তবে এবার সেই অ্যাপেরই আভ্যন্তরীণ গবেষকরা প্রকাশ করলেন এক অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানালেন, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এই অ্যাপ। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নামক এক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে গোপনীয় এই তথ্য। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে ইন্সটাগ্রামের সাফাই, বিরূপ নয়, মানুষের জীবনে ‘মিশ্র’ প্রভাব ফেলে এই অ্যাপ।
রিপোর্টে দেখা গেছে, অ্যাপটি ব্যাবহারকারী নারীদের প্রতি তিনজনের একজন শারীরিক গঠন সংক্রান্ত মানসিক অবসাদের শিকার। শুধু তাই নয়, খোদ কিশোর-কিশোরীদেরই একাংশ দাবী করেছে, ইন্সটাগ্রাম তাঁদের উদ্বেগ এবং মানসিক অবসাদ বাড়ানোর জন্য অনেকাংশে দায়ী। অ্যাপটিতে মানুষের বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখে নিজেদের তুচ্ছ মনে করেন অনেকেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করার উৎসাহ এবং উদ্দীপনা হারান বড় সংখ্যক অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।
যদিও এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে ইন্সটাগ্রামের নিজেদের স্বপক্ষে যুক্তি, এই অ্যাপ মানুষের উপর মিশ্র প্রভাব সৃষ্টি করে। এবং সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর মানসিক পরিস্থিতির উপর। ইন্সটাগ্রাম দাবী করেছে, এমন অনেক ব্যবহারকারী আছেন যাঁরা বলেন, এই অ্যাপ তাঁদের জীবনে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। অনেকে বলেন, তাঁদের জীবনে কোনও প্রভাবই ফেলে না ইন্সটাগ্রাম। তবে যারা ইতিমধ্যেই মানসিক অবসাদে জর্জরিত, তাঁদের জন্য কখনো কখনো কুফলদায়ক হয় এই অ্যাপটি। ইন্সটাগ্রামের ঋণাত্মক প্রভাব সম্বন্ধে অ্যাপ কর্তৃপক্ষের মত, সমগ্র বিশ্ব জুড়েই সামাজিক তুলনা এবং তাকে কেন্দ্র করে অবসাদ আছে। সোশ্যাল মিডিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছে এই অ্যাপ। এর আগে শিশুদের জন্য আলাদা করে একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাপ বানানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অ্যাপ নির্মাতারা। সে সময়ে নতুন অ্যাপের বিরোধিতা করেন একাধিক আমেরিকান অ্যাটর্নি এবং উকিল মণ্ডলী। তাঁদের দাবী ছিল, এতো কম বয়সীদের জন্য এমন একটি অ্যাপ হওয়া কখনই যুক্তিসঙ্গত নয়। এতে শিশুদের শারীরিক, মানসিক সর্বোপরি আবেগের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।