একেই বলে হয়তো প্রকৃত 'খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা'। অলিম্পিক্সে ৬ বারের মেডেল জয়ী বিশ্বের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট সিমোনে বাইলসের (Simone Biles) আচরণে এ কথাই বারবার উঠে আসছে। তিনি আরও একবার গোটা বিশ্বের কাছে এক নতুন নজির সৃষ্টি করলেন। যা দেখে আগামী বিশ্বের তামাম ক্রীড়াপ্রেমী মানুষদের কাছে তিনি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। এদিন আর্টিস্টিক জিমন্যাসটিক্সের (Aritistic Gymnastics) অল অ্যারাউন্ডের দলগত ফাইনাল থেকে আচমকাই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এই ২৪ বছর বয়সী তারকা। কারণ ভল্ট দিতে গিয়ে একটি হতাশাজনক স্কোর করেন। যা তাঁর সতীর্থদের চমকে দেয়। এই ভল্টের পর বাইলস রীতিমত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। দেখা যায় কিছুক্ষণ পর পায়ে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে ফ্লোর ছেড়ে চলে যেতে। মনে করা হয় এই ভল্টের সময় তিনি হয়তো কোন গুরুতর কোন চোট পেয়েছেন। যদিও এই চোটের খবর কতটা সত্য তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবুও তিনি দলগত ইভেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সেখানে তিনি তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যহানির কথা উল্লেখ করেছেন। এবার তাঁর জায়গায় ৯ নম্বরে থাকা জেড কেরি দলগত ফাইনালে নামবে। যে প্রতিযোগিতা হবে বৃহস্পতিবার।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর সিমোনে বাইলস আর এবারের অলিপিক্সে অংশগ্রহণ করবেন কীনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। দলগত ইভেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহারের পর ব্যক্তিগত ইভেন্টে অংশ নেবেন কীনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। এই ইভেন্টে আমেরিকা পরপর দুবার ২০১২ এবং ২০১৬-তে সোনা জিতেছে। এবার হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা ছিল। যদিও সিমোনে বাইলসের সরে যাওয়ায় তা নিয়ে বাড়তি চাপ তো থাকছেই, কিন্তু তাঁর সতীর্থরা এবং সেদেশের অলিম্পিক্স ফেডারেশন সিমোনে বাইলসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এখানেই অলিম্পিক্সের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় তৈরি হল মনে করছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের কথায়, নিজের ব্যক্তিগত সাফল্যের আগে যে দেশের সম্মান, তা আর একবার বিশ্বের কাছে তুলে ধরলেন এই কিংবদন্তী জিমন্যাস্ট।