কথা হচ্ছিল আজিঙ্ক রাহানের (Ajinkya Rahane) পরপর অফ ফর্ম নিয়ে। মোটামুটি ধরেই নেওয়া হয়েছিল আজ হয়তো কলকাতার হয়ে রাহানেকে দেখা যাবে না। হলও তাই। রাহানের জায়গায় এলেন অ্যারন ফিঞ্চ (Aaron Finch)। কিন্তু ব্যাট হাতে তেমন কোন চমক দেখাতেই পারলেন না। উল্টে পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৮ রান। কলকাতার চিরকালই পাওয়ার প্লে-তে কম রান রেটের রেকর্ড আছেই। তবে গত ম্যাচে দিল্লির কাছে হারের পর আজকের ম্যাচের শুরু দেখেই হতাশ হলেন কেকেআর (KKR) ভক্তরা। সেই ব্যাটে বলে চমক দেখালেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)।
এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH)। পাওয়ার প্লে-তে কলকাতার চূড়ান্ত ব্যর্থতা। পরপর তিন উইকেট হারিয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে নাইট শিবির। দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) কিছুটা হাল ধরেন। যদিও নীতিশ রানার (Nitish Rana) ৩৬ বলে ৫৪ রান দলকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। আর সবশেষে রাসেল ঝড় কেকেআর পৌঁছায় একটি সম্মানজনক স্কোরে। রাসেলের ২৫ বলে ৪৯ রানের সুবাদে কেকেআরের নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৫ রান। আইপিএলে খারাপ স্কোর নয়।
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) হায়দ্রাবাদ দল বোলিং-এ চমক দেখালেন সেই টি নটরাজন (T Natarajan)। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। বাদ যাননি উমর মালিক (Umarn Malik)। নির্ধারিত ৪ ওভারে ২ উইকেটের সফলতা, তা-ও আবার মাত্র ২৭ রান দিয়ে।
কলকাতা দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই চমক দেয়। প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) বলে বোল্ড হায়দ্রাবাদের অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও তেমন কোন রান করতে পারেননি। তবে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে রাহুল ত্রিপাঠী (Rahul Tripathi) কেকেআরকে রীতিমতো নাকানি-চোবানি খাওয়াল। একদিকে এডেন মাক্রাম (Aiden Markram), অপরদিকে রাহুল ত্রিপাঠীর অনবদ্য ইনিংস বহুদিন মনে রাখবে আইপিএল প্রেমীরা। রাহুল ত্রিপাঠীর ৩৭ বলে ৭১ আইপিএলে দুরন্ত ইনিংস। যোগ্য জবাব দিল এডেন মাক্রামের। দুরন্ত অর্ধশতরানে হায়দ্রাবাদ তখন জয়ের দোরগোড়ায়।
কলকাতার বোলিং অ্যাকশন চূড়ান্ত ব্যর্থ। একমাত্র রাসেল এবং নারিন ছাড়া তেমন কোন চমকই কেউ দেখাতে পারেননি। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল হায়দ্রাবাদ।