প্রথম ম্যাচে কেকেআর (KKR) ফ্যানদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল দলের নয়া ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে চূড়ান্ত ব্যাটিং ব্যর্থতা কলকাতার। ফের কেকেআর ফ্যানদের লজ্জায় ফেলল ব্যাটিং অর্ডার। অনেকেই বলছেন, এবারের আইপিএল-ও (IPL) গতবারের মতোই টস ভোগাবে। মুম্বইয়ের মাঠে এখনও পর্যন্ত যে চারটি দলের খেলা হয়েছে, সেখানে যারাই টসে জিতেছে তাদেরই হাতে ম্যাচের চাবিকাঠি। বুধবার টসে হেরে কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের চোখে-মুখে সেই ছাপ স্পষ্ট।
শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে কলকাতা। প্রথম তিন ওভার কলকাতার কোন উইকেট পড়েনি। স্কোর বোর্ড তখন ১৪। চতুর্থ ওভারে আকাশ দীপের (Akash Deep) প্রথম বলেই আউট ভেঙ্কটেশ আইয়ার (Venkatesh Iyer)। কলকাতার এই যুব খেলোয়াড়কে নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে, কিন্তু পরপর দু'টি ম্যাচের ব্যর্থতা কলকাতার ওপেনিং জুটি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আউট রাহানে। ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় নীতিশ রানাকে (Nitish Rana)। পাওয়ার প্লে-তে কলকাতার স্কোর বোর্ড ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪। সপ্তম ওভারে আউট কলকাতার ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। নবম ওভারে সুনীল নারাইন।
এরপরেই মাঠে আসে আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। আশা ছিল আজ হয়তো রাসেল ঝড় দেখতে চলেছে কলকাতার সমর্থকরা। রাসেল শুরুও করেছিলেন তেমনই। তবে ১৮ বলে মাত্র ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয়। কলকাতার স্কোর বোর্ড ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভারে ৯৯। ততক্ষণে কলকাতার ফ্যানদের মনে প্রশ্ন নির্ধারিত ২০ ওভার খেলতে পারবে তো কলকাতা? হলও তাই, সাত বল বাকি থাকতেই ইনিংস শেষ। উমেশ যাদব (Umesh Yadav) বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakaravarthy) শেষে কিছুটা হাল ধরলেও শেষরক্ষা হয়নি।
ব্যাঙ্গালোর বোলারদের সফলতা চোখে পড়ার মতো। হাসারাঙ্গার নির্ধারিত ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট। ৩ উইকেট আকাশ দীপের দখলে। সবচেয়ে নজির গড়ল হর্ষল প্যাটেল (Harshal Patel)। ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট। সঙ্গে দু-দু'টি মেডেন ওভার। আইপিএলের ইতিহাসে এমন ঘটনা কমই ঘটেছে। তাছাড়া মহম্মদ সিরাজও পেয়েছেন ১ টি উইকেট।
তবে কেকেআরও কম যায় না! প্রথম ওভারেই উমেশ যাদবের ঝটকা। ওভারের তৃতীয় বলেই আউট অনুজ রাওয়াত (Anuj Rawat)। খাতাও খুলতে দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউথির (Tim Southee) বলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস আউট। তৃতীয় ওভারে ফের বাজিমাত উমেশ যাদবের বলে। ৭ বলে মাত্র ১২ রান করেই প্যাভিলিয়নে কিং কোহলি। ব্যাঙ্গালোরের তখন ৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২ রান। মাঠে তখন শেরফানে রাদারফোর্ড এবং ডেভিড উইলি। দক্ষতার সঙ্গে দলের হাল ধরেন। যদিও দশম ওভারে নারিনের বলে ঝটকা। উইলির উইকেট খুইয়ে ব্যাঙ্গালোরের স্কোর বোর্ড চার উইকেট হারিয়ে ১১ ওভারে ৬২ রান।
এরপরেই টানটান উত্তেজনা। পরপর কয়েক উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে ব্যাঙ্গালোর। ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায় খেলা। যদিও শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছয় দীনেশ কার্তিকের। একসময় কলকাতার হয়ে খেলা দীনেশ কার্তিকের হাতেই হল কেকেআর বধ। তিন উইকেটে ম্যাচ জিতল ব্যাঙ্গালোর।