সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ভারতীয় ক্রিকেটের মধ্যে বেশকিছু সমস্যা চলছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন লেগে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ঠিক আগে বিরাট কোহলি বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের সামনে ঘোষণা করে দেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে তাকে কেউ নিষেধ করেনি। এবং তিনি নিজে এক দিবসীয় দলের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু অন্যদিকে, বিসিসিআই চেয়ারপারসন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে বিরাট কোহলিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল যাতে তিনি টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব না ছাড়েন।
বিরাট কোহলির ওই সংবাদ সম্মেলনের পরেই বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের দাবি জানিয়েছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের একজন কর্মকর্তা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে বিরাট কোহলিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, তিনি আরো যোগ করলেন, 'বিরাট কোহলি বলতে পারবেন না যে আমরা তাকে লুপে রাখিনি। আমরা সেপ্টেম্বরে বিরাট এর সাথে কথা বলেছিলাম এবং তাকে বলেছিলাম যাতে তিনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়েন। বিরাট যখন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন দুজন সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক নিয়ে আসা খুব কঠিন ছিল। সেই সময় বৈঠক চলাকালীন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিয়ে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিরাট কোহলির পরিবর্তে একদিবসীয় দলের অধিনায়ক হতে চলেছেন রোহিত শর্মা।'
অন্যদিকে বিরাট বিস্ফোরণের মধ্যেই অবশেষে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে সার্বিকভাবে কোন রকম মন্তব্য করতে চাননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারপারসন। তিনি সরাসরি এই বিষয়টিকে বিসিসিআইয়ের কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, 'এখানে আমার কিছু বলার নেই। এখানে যা বলার বিসিসিআই বলবে।' তবে এতে যে বিতর্ক খুব একটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন মহল থেকে এখনো পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে বিরাট কোহলির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোন একটা সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে বিরাট ভক্তদের একটা অংশ সরাসরি বিসিসিআই চেয়ারপারসন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর পদত্যাগ পর্যন্ত দাবী করছেন। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের বক্তব্যে বিষয়টিকে বিসিসিআইয়ের কোর্টে ঠেলে দিলেন। তিনি বললেন, বিষয়টি নিয়ে সরাসরি তার কিছু বলার নেই।