বুধবার বিকেলে একটি টুইট করে বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) জানান, "নতুন কিছু শুরু করতে চলেছেন।" আর এই টুইট ঘিরেই আসমুদ্র হিমাচলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। নানা মুনি নানা মত পোষণ করতে থাকেন। কেউ বলতে শুরু করেন, সৌরভ বিসিসিআই-এর সভাপতি পদ ছাড়তে চলেছেন। আবার কেউ বলেন, এবার রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে চলেছেন তিনি। এমন জল্পনাও শোনা যায় যে সৌরভ নাকি বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে চলেছেন।
তোলপাড় করা টুইটের জল্পনা নিরসন ঘটিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি অবশ্য পরে জানান, পুরোটাই একটা বিজ্ঞাপণী চমক। টুইট করে ফের লেখেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। আমি বিশ্বব্যাপী একটি নতুন শিক্ষার অ্যাপ চালু করছি। কোনও পদত্যাগ করিনি বা কিছুই নয়।" একই কথা জানিয়েছেন জয় শাহও।
প্রসঙ্গত, সেরার সেরা অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিশমা থাকলেও বিসিসিআই বস হিসাবে সৌরভ গাঙ্গুলিকে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। গতবছর টি টোয়েন্টি অধিনায়ক ও ওডিআই অধিনায়ক পদ থেকে বিরাট কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিতর্ক আরও দৃঢ় হয়। সৌরভ জানিয়েছিলেন, তিনি বিরাটকে থেকে যেতে বলেছেন। যদিও মিডিয়ার সামনে বিরাট স্বীকার করে নেন, এটি পুরোপুরি তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বিরাটের কথায়, "আমি যখন বিসিসিআইয়ের সাথে প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করি, তখন আমি তাঁদের বলেছিলাম যে এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি, এটিই আমার সিদ্ধান্তের কারণ, এটি পেয়েছি। বেশ ভালো। কেউই অপরাধ করেনি, কারও কোনো দ্বিধা ছিল না। কেউ আমাকে বলেনি যে আমার টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।" অর্থাৎ, বিরাটের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁকে সৌরভ মোটেই আটকাতে আসেনি। জানা গিয়েছে, সৌরভ গাঙ্গুলি নাকি পরবর্তীতে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলার জন্য কোহলির কাছে রিপোর্ট পর্যন্ত তলব করেছিল। যদিও বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ হস্তক্ষেপ করে গাঙ্গুলিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ না পাঠাতে রাজি করান।