গতকালই তাই সু-উইং-এর কাছে সেমিফাইনালে হেরে অলিম্পিকে সোনা-রূপো জেতার সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন সিন্ধু। হাতে ছিল ব্রোঞ্জের হাতছানি। সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন না এই অসামান্যা। ‘ডু ওর ডাই’ ম্যাচে চিনা প্রতিদ্বন্ধি হি বিংজিয়াও কে পরাস্ত করে টোকিও অলিম্পিকে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় পদকটি ছিনিয়ে আনলেন সিন্ধু। সেই সাথে ভারতীয় অলিম্পিকের ইতিহাসে গড়লেন এক অনন্য নজির।
এদিন সিন্ধু বিংজিয়াও কে ২১-১৩ এবং ২১-১৫ র দুটি সেটে পরাস্ত করেন। দ্বিতীয় সেটে হি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষমেশ হার মানতে বাধ্য হন সিন্ধুর প্রতিভার কাছে। আর এই পদকপ্রাপ্তির পরেই সিন্ধু হয়ে গেলেন প্রথম ভারতীয়া যে কিনা পরপর দুটি অলিম্পিকে পদকলাভ করলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬র রিও অলিম্পিকেও সিন্ধু জিতেছিলেন রৌপ্যপদক। এর আগে কুস্তিগির সুশীল কুমারও পর পর দুটি অলিম্পিকে পদকলাভের অনন্য নজির গড়েছিলেন, কিন্তু ভারতীয় মহিলা হিসেবে সিন্ধুই প্রথম এই খাতায় নাম লেখালেন।
এদিন তাঁর পদক জয়ের পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পরে ভারতের আবালবৃদ্ধবনিতা। তাঁকে টুইট করে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আপনার অনবদ্য পারফরমান্সে উচ্ছ্বসিত। টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়ের শুভেচ্ছা। আমাদের দেশের গর্ব সিন্ধু, অসাধারন অলিম্পিয়ানদের একজন’। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ও শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি এই প্রতিভাময়ী ক্রীড়াবিদকে।
মিরাবাই-এর পর সিন্ধুই ভারতকে দ্বিতীয় অলিম্পিক পদকের মুখ দেখালেন। অন্যদিকে আসামের মেয়ে লভলিনাও তাঁর পদক নিশ্চিত করে ফেলেছেন। পাশাপাশি পুরুষ হকি দল এবং ডিসকাস থ্রোয়ার কমলপ্রীতও আশা জাগাচ্ছেন ভারতীয়দের মনে। সেক্ষেত্রে বলাই যায় ভারত টোকিও অলিম্পিকে ‘দের আয়ে লেকিন দুরুস্ত আয়ে’।