আজকের প্রথমবারের জন্য কালোর সঙ্গে হলুদ জার্সিতে ময়দান কাপাতে গোয়ার বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল বাংলার এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তবুও তাদের জয়ের খরা যেনো আর কাটতে চাইছে না। এদিন স্বমহিমায় দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল কে। কিন্তু, ম্যাচ জিতার জন্য যেটা সবথেকে বেশি দরকার সেটা হলো গোল স্কোরিং করার ক্ষমতা। সেটা যেন কোথাও একটা হারিয়ে গেল আজকের ম্যাচে। কমপক্ষে তিনটি ভালো শট মিস করে রবি ফাওলারের দল সন্তুষ্ট রইল ১-১ ড্র করেই। ম্যাচের প্রথম থেকেই বেশ আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করেছিলো ইস্ট বেঙ্গল। প্রথম দিকেই ডিফেন্ডারদের চমকে দিয়ে গোয়ার ডি বক্সে ঢুকে পড়লেন ইস্টবেঙ্গলের নারায়ন দাস। আর সেইখানেই ইস্টবেঙ্গল এর কাছে চলে আসে প্রথম গোল করার সুযোগ, ম্যাচের প্রথম পেনাল্টি। কিন্তু সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন এন্টনি পিলকিংটন।
তারপরেই চেনা ছন্দে খেলা শুরু করে এফসি গোয়া। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে গোয়া। কিন্তু যথেষ্ট দক্ষতার সাথে সমস্ত বল বাঁচিয়ে ফেলেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদার। তা কিছুক্ষণ পরেই আবারও আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল কিন্তু গোল হয়নি। প্রথমার্ধ শেষ হবার কিছু মুহূর্ত আগে ম্যাচের ৩৯ মিনিটের মাথায় একেবারে ফাঁকা বল পেয়ে গোল করেন এফ সি গোয়ার ইগর আংগুলো। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হবার সময় বেশ কিছুটা চাপে ছিল কলকাতার দল। দ্বিতীয়ার্ধে রণনীতি পাল্টে খেলতে নামে এফসি গোয়া। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম থেকেই একেবারে ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলতে শুরু করে। তবে ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে ইস্ট বেঙ্গল। একের পর এক কর্নার এবং ফ্রি কিক পেলেও গোল করতে সক্ষম হয়নি ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় গোয়ার বক্সের বাইরে একটি ফ্রি কিক চলে আসে ইস্টবেঙ্গল এর কাছে। সেই ফ্রি-কিক থেকে নিখুঁত সেট পিস থেকে গোল করেন অধিনায়ক ড্যানি ফক্স। অধিনায়কের গোলে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। তারপর পিলকিংটন এর বিরুদ্ধে একটি জঘন্য ফাউল করে ৬৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এফসি গোয়ার এডু বেদিয়া। শেষ ৩০ মিনিটে গোয়া 10 জনের দল নিয়ে খেলে। মাঘোমা এবং এনবাখারের দুরন্ত আক্রমণে এফ সি গোয়ার ডিফেন্স একেবারে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু, একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে সক্ষম হয়নি ফাওলারের দল। শেষ পর্যন্ত মাঘোমা, পিলকিংটন দের খুশি থাকতে হয় ১-১ ড্র নিয়েই। এই ড্র এর পরে পয়েন্ট তালিকায় ইস্টবেঙ্গল বর্তমানে ১০ম স্থানে। অন্যদিকে গোয়া পয়েন্ট তালিকায় উঠে এলো তৃতীয় স্থানে।