ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে একদিকে যেমন সচিন টেন্ডুলকার (Sachin Tendulkar) তার অনস্বীকার্য অবদান রেখেছেন ঠিক তেমন বর্তমান টিম ইন্ডিয়া ক্রিকেট দলকে নিজের কাঁধে তুলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন কোহলি। অনেকেই মনে করেন যে মাস্টার ব্লাস্টারের রেকর্ড যদি কেউ ভাঙতে পারে সে হলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সচিন টেন্ডুলকার ভারতের হয়ে ২০০ টি টেস্ট ম্যাচ এবং ৪৬৩ টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। দুই ফরম্যাটে তাঁর প্রাপ্ত রান ১৫২৯১ ও ১৮৪২৬। ১০০ টি আন্তর্জাতিক শতরান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এছাড়া ওয়ান ডে ম্যাচে তাঁর দ্বিশতরান রয়েছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে ৮৬ টি টেস্ট, ২৪৮ টি ওয়ান ডে ও ৮২ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বিরাট কোহলি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৭০ টি আন্তর্জাতিক শতরান। তবে সচিন টেন্ডুলকার প্রায় সাত বছর আগে খেলার জগত থেকে অবসর নিলেও তাঁর জনপ্রিয়তা এতটুকু ক্ষুন্ন হয়নি।
জানিয়ে রাখা ভাল যে ৭ বছর ধরে খেলার জগত থেকে অবসর নিলেও সচিন টেন্ডুলকারের ব্র্যান্ড ভ্যালু অন্যান্য যেকোন ক্রিকেটারের থেকে অনেক বেশি। এমনকি ৪৮ বছর বয়সে এসেও যে কোন প্রোডাক্ট, স্পনসারশিপ ও ব্র্যান্ডের প্রথম পছন্দ মাস্টার ব্লাস্টারকে। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে ভারতের বর্তমান ক্রিকেট ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির ইন্সটাগ্রামে ১২০ মিলিয়ন ফলোয়ার এবং নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড (Wrogn) থাকা সত্ত্বেও সচিন টেন্ডুলকারের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর থেকে অনেক বেশি। বর্তমানে মাস্টার ব্লাস্টারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১২০ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ভারতীয় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১১৯ মিলিয়ন ডলার।
তবে সবার মনে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে যে সচিন টেন্ডুলকার ৭ বছর আগে খেলার জগত থেকে অবসর নিলেও তিনি এত সম্পত্তির মালিক কিভাবে? আসলে অবসর নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রথম পছন্দ সচিন টেন্ডুলকার। তিনি বিভিন্ন কমার্শিয়াল ডিল, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, স্পনসারশিপ ইত্যাদি থেকে অর্থ উপার্জন করেন। ২০১৯ সালে মাস্টার ব্লাস্টারের ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৫.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং তা প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়াও তিনি গত ১০ বছর ধরে ওয়াটার পিউরিফায়ার কোম্পানি (Livpure) ও ইলেকট্রনিক ব্যাটারি কোম্পানি (Luminous) এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে আছেন।