রাজস্থানের ভরতপুরের লোহাগড়ে আয়োজিত একটি কুস্তি প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠে মাত্র এক পয়েন্টের জন্য হেরে যান রীতিকা ফোগত। হার মেনে নিতে না পেরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে শেষমেষ আত্মহননের পথ বেছে নেন মাত্র সতেরো বছর বয়সী এই কুস্তিগীর। রীতিকা সম্পর্কে গীতা ও ববিতা ফোগতের তুতো-বোন হন।
২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতেন গীতা এবং ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনার মেডেল জয় করেন ববিতা। কুস্তিগীর হিসেবে তাঁদের তুতো বোন বিনেশ ফোগতের জনপ্রিয়তাও কম নয়। ইউক্রেন কুস্তি মিটের ৫৩ কেজি বিভাগের ফাইনালে সোনা জেতেন তিনি। চলতি বছর টোকিও অলিম্পিকেও অংশগ্রহণ করবেন তিনি। দ্রোণাচার্য মহাবীর সিং ফোগত ও তার দুই মেয়ের কঠিন সংগ্রাম বড়পর্দায়ও ব্যপক সাফল্য পায় আমির খান অভিনীত 'দঙ্গল' সিনেমার হাত ধরে। এক কথায়, ভারতীয় কুস্তির জগতে ফোগত পরিবারের খ্যাতি সর্বজনবিদিত।
গত ১৪ ই মার্চ ভরতপুরের ওই কুস্তি প্রতিযোগিতায় রাজ্য স্তরের সাব জুনিয়ররা অংশ নেয়। অংশগ্রহণ করে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সমস্ত আঞ্চলিক কুস্তিগীরেরা। প্রথম থেকেই দুরন্ত লড়াই করে একেবারে ফাইনালের দুয়ারে পৌঁছে যান রীতিকা ফোগত। খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন তার প্রশিক্ষক স্যর মহাবীর সিং ফোগত স্বয়ং। ফাইনালেও পরাক্রম দেখিয়েছেন রীতিকা, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মাত্র এক পয়েন্টের জন্য হেরে শেষমেশ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া ঘনিয়েছে রীতিকার পরিবার সহ গোটা ক্রীড়াজগতে।