মোহনবাগানের কাছে তিন গোল খাওয়ার ব্যাথা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ইস্টবেঙ্গলকে হাফ ডজন গোলের মালা পরাল ওড়িশা এফসি। সেই সাথে আইএসএলের তালিকায় ১০ নম্বরেই থাকল লাল-হলুদ। অন্যদিকে মোহনবাগানকে সরিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল ওড়িশা।
আজকের ম্যাচে উদ্বোধনী গোলটি আসে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকেই। ম্যাচের ১৩ মিনিটে সিডোয়েলের করা গোলে এগিয়ে যায় লাল হলুদ। যদিও ৩৩ মিনিটে সেই গোল পরিশোধ করেন রোডাস। ম্যাচের ৪০ মিনিটে আবারও রোডাসের করা গোলে ২-১-এ এগিয়ে যায় ওড়িশা। হাফ টাইম শেষ হওয়ার সামান্য সময় আগেই দলের তৃতীয় এবং ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন ওড়িশার জেভিয়ার হার্নান্দেজ। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে কোনও গোল না এলেও ৭১ মিনিটে অ্যারিডাই ক্যাব্রেরার করা গোলে ব্যবধান কমিয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৪-১-এ। ম্যাচের ৮১ মিনিটে হাওকিপের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ৪-২ করে লাল-হলুদ। তবে ৮৩ মিনিটে ইসাক রালতের গোলে ফের ৫-২-এর ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওড়িশা। ম্যাচের ৯০ মিনিটে আবারও গোল আসে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে। এবার করেন ড্যানিয়েল চুকয়ু। ৮ মিনিটের এক্সট্রা টাইমে আরও দুটি গোল আসে দুই দলের তরফ থেকেই। ম্যাচের ৯২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন চুকয়ু। ঠিক তার এক মিনিট বাদে ম্যাচের দশম গোলটি করেন অ্যারিডাই। অবশেষে ৬-৪ এর ব্যবধানে জয় পায় ওড়িশা।
২০২১ সালের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের কপাল থেকে গোল খাওয়ার ফাঁড়া আর কাটছেই না। তবে আজকের ম্যাচে লাল-হলুদের তরফ থেকেও দেখা গেছে পাল্টা আঘাত। ৬ গোল খাওয়া সত্ত্বেও ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়েরা। আগামী ৩ তারিখ চেন্নাইয়ের মুখোমুখি নামবে লাল-হলুদ। এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচে না হারা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের রণনীতি কি হবে, সে দিকেই নজর থাকবে।