শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল দল থেকে বাদ পড়েছে পূজারা, রাহানে, ঋদ্ধিমানের নাম। আর এই প্রসঙ্গে ভারতের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ঋদ্ধি (Wriddhiman Saha) বলেন, দ্রাবিড় (Rahul Dravid) নাকি তাঁকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দেন। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন খোদ ‘দ্য ওয়াল’। বললেন ঋদ্ধি’র কথায় তিনি ‘আঘাত পাননি’।
দ্রাবিড় বলেন, “আমি একেবারেই আঘাত পাইনি। ঋদ্ধি এবং তাঁর কৃতিত্ব এবং ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদানের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার কথোপকথন সেই জায়গা থেকে এসেছে। আমি মনে করি তার (ঋদ্ধিমান) সততা এবং স্বচ্ছতা প্রাপ্য ছিল”।
দ্রাবিড় আরও বলেন, কেউ পছন্দ করুক বা অপছন্দ, ভবিষ্যতেও তিনি খেলোয়াড়দের সাথে এরকম কথোপকথন চালিয়ে যাবেন। তাঁর কথায়, “এটি আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্রমাগত কথোপকথনের বিষয়। আমি আশা করি না, খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমি যা বলি, তাতে তাঁরা সর্বদা সহমত হবেন। এভাবে এটি চলে না। কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে আপনার কথোপকথনে সমস্যা হতেই পারে। তার মানে এই নয় যে, সেই কথোপকথন আপনি লুকিয়ে রাখবেন এবং কোনোদিনও তা প্রকাশ্যে আনবেন না”।
ভারতের প্রধান কোচ বলেন, তাঁর মতাদর্শই প্রতিটি ম্যাচের প্রথম একাদশ চয়নের আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করা। “আমি মনে করি, প্রতিবার প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিছু কথা বলা প্রয়োজন, যেমন কেন তাঁরা খেলছেন না। খেলোয়াড়দের পক্ষে এই ঘটনায় ভেঙে পড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক”।
দ্রাবিড় স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন, বর্তমানে ভারতের ১ নম্বর উইকেটরক্ষক হিসাবে ঋশভ পান্থ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছেন। আর ভবিষ্যতে বাংলার এই খেলোয়াড় (ঋদ্ধিমান) আর সুযোগ পাবেন না। দ্রাবিড় জানান, “আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম, পান্থের পর পরিবর্ত উইকেটরক্ষক হিসাবে আমরা একজন তরুণ প্রতিভা (কেএস ভরত) চাইছি। তার মানে এই নয়, ঋদ্ধির প্রতি আমার ধারণা বা শ্রদ্ধা এতটুকুও কমে গিয়েছে”। দ্রাবিড়ের সাফ কথা, “আমি চাইলেই এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যেতে পারি। কিন্তু খেলোয়াড়ের স্বার্থে আমি তা করব না”।