এটিকে মোহনবাগানের পর এবার মুম্বাই সিটি এফসি বিরুদ্ধে হার স্বীকার করল কেরালা ব্লাস্টার্স। এদিনকার ম্যাচেও প্রথমে এগিয়ে থেকে পরে ম্যাচটিকে হাতছাড়া করল কেরালা। খেলার ব্যবধান ছিল ২-১। এই ম্যাচ জয়ের পরে ৩৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লীগ তালিকার একদম প্রথমে রয়ে গেল মুম্বাই সিটি এফসি। অন্যদিকে মাত্র ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নবম স্থানে পৌঁছে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স। আইএসএল এর এবারের সংস্করণে কেরালা ব্লাস্টার্স এর জন্য খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছে না। পরপর বেশ কয়েকটি ম্যাচ তারা হারলেন। প্রত্যেকটি ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকার পরেও দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে তাদেরকে হারতে হয়।
এদিন ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্স এর বিরুদ্ধে বেশ খানিকটা আত্মবিশ্বাসী ছিল মুম্বাই সিটি এফসি। অন্যদিকে আগের ম্যাচেই ২ গোলে পরাজয় স্বীকার করেছিল কীবু ভীকুনার কেরালা ব্লাস্টার্স। তাই দুটি দলের লক্ষ্য ছিল জয়। ম্যাচের প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণ চলতে থাকে বিপরীতে গোলপোস্টে। মুম্বাই সিটি এফসি একাধিকবার গোলের কাছে পৌঁছলেও একটুর জন্য বল গোলপোস্ট ক্রস করছিল না। অন্যদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্স প্রথম থেকেই বেশ ভালো ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল।
ম্যাচের মাত্র ২৭ মিনিটের মাথায় কর্নার কিক থেকে সোজা শট হেড মেরে গোলে রূপান্তরিত করেন ভিন্সেন্ট গোমেজ। প্রথমার্ধে কিন্তু এই গোল শোধ করার একাধিক সুযোগ এসেছিল মুম্বাই এর কাছে। কিন্তু তারা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই অন্য একটা উদ্যমে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুম্বাই সিটি এফসি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল দেন বিপিন সিং। তারপর কেরালা ব্লাস্টার্স ডিফেন্স কে বারংবার আক্রমণ করে মুম্বাইয়ের ফুটবলাররা।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটের মাথায় আসে একটি পেনাল্টি সুযোগ। আর সেই সুযোগের একেবারে সৎ ব্যবহার করেন অ্যাডাম লি ফন্দ্রে। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান কেরালার ফুটবলাররা। দুর্ধর্ষ ফুটবল খেললেও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় গোলটি আর শোধ দেওয়া গেল না। ফলে আরো একবার হারের সম্মুখীন হতেই হল কেরালা ব্লাস্টার্সকে।