অবশেষে এলো জয়। ৮ নম্বর জায়গায় থেকে সোজা ৫ নম্বরে উঠে এলো এবারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজকের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ৫ উইকেটে হারানোর সুবাদে কলকাতার হারের খরা কাটলো। অধিনায়ক ইয়ন মরগান ফিরলেন ফর্মে। সঙ্গে রাহুল ত্রিপাঠীর পার্টনারশিপ। তার পাশাপাশি বোলিং ও হলো দুর্ধর্ষ। কিন্তু এখনও কলকাতার কাছে একটাই সমস্যা, টপ অর্ডারের চূড়ান্ত আউট অফ ফরম থাকা। আজকের ম্যাচেও কলকাতার ওপেনিং পার্টনারশিপ একেবারেই কাজ করলো না। আজকের ম্যাচে আমেদাবাদ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টসে জিতে কেকেআর বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বল হাতে আজকে কেকেআরের বোলাররা কামাল করে দিলেন। কামিন্স, নারায়ণ নিলেন ২টি করে উইকেট। আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা নিলেন ৩টি উইকেট। বাকি বোলাররাও ভালোই বল করলেন। প্রথমে দিকে পাঞ্জাব শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু প্যাট কামিন্সের জোরে বলে একেবারে থতমত খেয়ে গেলেন পাঞ্জাবের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান কে এল রাহুল। তারপর নারায়ণের বলে রাহুল ত্রিপাঠীর হতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ময়নক আগরওয়াল। তারপর পাঞ্জাবের ইনিংস খুব একটা ভালো চললো না। ২০ ওভার শেষে মাত্র ১২৩ রানেই গুটিয়ে গেল প্রীতি জিন্টার টিমের ইনিংসটি।
তারপর জবাবে ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়লো কেকেআর। নিজের প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন নিতিশ রানা। তারপর ৯ রান করেই আউট হলেন শুভমান গিল। বেশ কিছুদিন হলো শুভমানের ব্যাট থেকে একেবারেই রান আসছেনা। তারপর ক্রিজে এলেন রাহুল ত্রিপাঠী। এসেই তিনি ম্যাচ নিজের হাতে ঘুরিয়ে দেওয়া শুরু করলেন। ৩২ বলে ৪১ রানের একটা দারুন ইনিংস খেলে দীপক হুডার বলে আউট হলেন ত্রিপাঠী। নারায়ণ আজকে ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারলেন না। কিন্তু আজকে অধিনায়কের মত একটি ইনিংস উপহার দিলেন নাইট অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ৪০ বলে ৪৭ রানের এই ঝকঝকে ইনিংসের সুবাদে ২০ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জিতে গেল নাইট বাহিনী। এই জয়ের ফলে অত্যন্ত খুশি নাইট মালিক শাহরুখ খান। ৮ নম্বর থেকে সোজা ৫ নম্বরে উঠে এলো কলকাতা।