এবারের টেবিল তালিকার লাস্ট বয়ের কাছে হেরে আইপিএল পয়েন্ট টেবিল একেবারে নিচে চলে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরপর চারটি ম্যাচে হার, এই নিয়ে ভক্তদের প্রশ্নের সম্মুখীন নাইট অধিনায়ক ইয়ন মরগান। এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বিগত সবকটি ম্যাচের মতো আবারো ফ্লপ নাইট রাইডার্স এর টপ অর্ডার। নিতিশ রানা করলেন মাত্র ২২, শুভমান গিল আবারো ফ্লপ, করলেন মাত্র ১১ তাও আবার ১৯টি বল খেলে। তারপর রাহুল ত্রিপাঠী ৩৬ রানের একটি ইনিংস খেলেন ২৬ বলে। অধিনায়ক ইয়ন মরগান আজকে একটিও বল না খেলেই আউট হয়ে গেলেন খুব অদ্ভুত ভাবে। নারিন করলেন মাত্র ৬। প্রথম ৫টি ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে বসেছে কেকেআর। তারপর কলকাতাকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করলেন কার্তিক। কিন্তু তারপর ম্যাচে উঠলো মরিস ঝড়। আজকের ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেনো আইপিএল এর সবথেকে দামি খেলোয়াড়। ব্যাটিং তো সকলে দেখেছেন। আর এবারে বোলিং করে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট তুলে নিলেন তিনি। একের পর এক কার্তিক, রাসেল, প্যাট কামিন্স এবং শিবম মাভিকে আউট করে দিলেন মরিস। ২০ ওভারে কলকাতার সংগ্রহ মাত্র ১৩৩, যা একটি ২০ ওভারের ম্যাচের জন্য খুব কম একটি টার্গেট।
এবারে জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাটলার এবং যশস্বী জয়সোয়াল ভালো শুরু করলেন। কিন্তু বাটলার আউট হবার পরে যশস্বী সঞ্জুর সাথে একটি দারুন কম্বিনেশনে খেলেন। এই পার্টনারশিপই রাজস্থান রয়্যালসকে অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে এসেছিল। তারপর শিবম দুবে, রাহুল তেওয়াতিয়া তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। কিন্তু সঞ্জুর সাথে খেলতে নামেন বিধ্বংসী ডেভিড মিলার। মিলার এবং সঞ্জুর এই পার্টনারশিপে ভর করে কলকাতাকে হেলায় হারিয়ে দিল রাজস্থান। সঞ্জু করলেন নট আউট ৪২ এবং মিলার করলেন নট আউট ২৪। এই জয়ের পরে রাজস্থান বর্তমানে ৬ নম্বরে ও অবস্থান করছে। আর কলকাতা আছে একেবারে লীগ তালিকার শেষে ৮ম স্থানে। ফলে এখন কলকাতার পক্ষে কোয়ালিফায়ারে ওঠা বেশ চাপের।