দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবশেষে জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। লো স্কোরিং এই ম্যাচের একটা সময় মনে হয়েছিল হয়ত কলকাতার জেতা অসম্ভব। তবে শেষপর্যন্ত নীতিশ রানা(৩৬) এবং সুনীল নারিনের(২১) হাত ধরে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় নাইট রাইডার্স। দিল্লির ১২৭ রানের পরিবর্তে ১০ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৩০ রান তুলে নেয় মর্গানরা।
এদিন টসে ম্যাচ জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। দিল্লির শুরুটা মন্দ হয়নি এদিন। ষ্টিভ স্মিথ এবং শিখর ধাওয়ানের চওড়া ব্যাটে ভোর দিয়ে ভালোই এগচ্ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে তাতে বাধ সাধে কলকাতার ‘লোকি’। ফার্গুসনের করা বলে দলের ৩৫ রানের মাথায় ভেঙ্কাটেশ আয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে ঘরে ফেরেন ধাওয়ান (২৪)। ৪০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় দিল্লি। মাত্র ১ রান করে সুনীল নারিনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভেলিওনে ফেরেন শ্রেয়াস আয়ার। তবে এরপর পান্থের সাথে স্মিথের একটি পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। দলের ৭৭ রানের মাথায় আউট হন স্মিথ (৩৯)। এরপর কার্যত ঝড়ের বেগে পড়তে থাকে দিল্লি ক্যাপিটালসের উইকেট। ২০ ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস তোলে মাত্র ৯ রান। স্মিথ, ধাওয়ান এবং পান্থ (৩৯) ছাড়া দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়নি কারোর রান। অন্যদিকে কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন ফার্গুসন, নারিন এবং ভেঙ্কি আয়ার। একটি উইকেট তুলে নেন রাসেলের বদলে দলে আসা টিম সাউদিও।
স্বল্প লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে কেকেআর হয়ত ভেবেছিল, এ আর এমন কি? গিল (৩০) এবং ভেঙ্কির (১৪) বদান্যতায় শুরুটাও ভালোই করেছিল কলকাতা। তবে দলের ২৮ রানের মাথায় ভেঙ্কাটেশ আয়ারের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে প্রথম ব্রেক থ্রু দেন আবেশ খান। নেমেই প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানো রাহুল ত্রিপাঠিও মাত্র ৯ রান করেই ললিত যাদবের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ঘরে ফেরেন। দলের ৬৭ রানের মাথায় রাবাডার বলে আয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন শুভমন গিল। আশ্বিনের বলে অবিবেচিত শট খেলে ‘০’ রানে আউট হন ক্যাপ্টেন মর্গান। একটা সময় কলকাতা সমর্থকদের মনে হচ্ছিল, দিল্লি বোধহয় সত্যিই দূর। এর মাঝেই মাত্র ১২ রান করেই আউট হয়ে ঘরে ফেরেন দীনেশ কার্ত্তিক। তবে শেষপর্যন্ত নীতিশ রানা (৩৬) এবং সুনীল নারিনের (২১) ব্যাটে ভর দিয়ে লক্ষ্যভেদে সক্ষম হয় কলকাতা। দিল্লির তরফ থেকে ৩ টি উইকেট তুলে নেন আবেশ খান। একটি করে উইকেট পান নরজে, আশ্বিন, ললিত যাদব এবং রাবাডা। ২ টি উইকেট নিয়ে এবং মুল্যবান ২১ রান করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন সুনীল নারিন।
এই নিয়ে ১১ টি ম্যাচে কলকাতা জয়লাভ করল ৫ টি ম্যাচে। হেরেছে ৬ টি তে। মোট ১০ পয়েন্টের সাথে আপাতত কলকাতা পয়েন্টস টেবিলে চতুর্থ স্থানে। প্লে অফে উঠতে গেলে বাকি ৫ টি ম্যাচের মধ্যে কলকাতাকে জিততে হবে অন্তত তিনটি ম্যাচে। তবে আইপিএলের প্রথম ইনিংসে চরম খারাপ পারফরমান্স করে আসা কলকাতা নাইট রাইডার্স, টুর্নামেন্টের সেকেন্ড ইনিংসে যে সশব্দে ফিরে এসেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।