মুম্বাইকে ১৫২ রানে বেঁধে দিলেও ব্যাটসম্যানদের ভুলের জন্য এদিন জেতা ম্যাচ হারলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট রাইডার্স এর ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগান। প্রথম ইনিংসে বোলাররা দুর্দান্ত শুরু করেন। প্যাট কামিন্স, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, বরুণ চক্রবর্তী, শাকিব আল হাসান দুর্ধর্ষ বোলিং করেন। তার সঙ্গে শেষদিকে বোলিং করতে নেমে মুম্বাইয়ের অন্যতম স্তম্ভ কায়রন পোলার্ড এবং ক্রুনাল পান্ডেয়া সহ ৫ ব্যাটসম্যানকে আউট করে দিয়ে রেকর্ড করেন কেকেআরের তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। মুম্বাইয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫২ রানে। মুম্বাইয়ের হয়ে সবথেকে ভালো খেলেন রোহিত শর্মা এবং সূর্য কুমার যাদব।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে নিতিশ রানা দারুন একটা শুরু করেন। তার যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন শুভ্মান গিল। কিন্তু শুভ্মান আউট হয়ে যাবার পরেই কেকেআরের ইনিংস কিছুটা নড়বড়ে হতে শুরু করে। খুব তাড়াতাড়ি আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠী। তারপরেই একটা বাজে শট খেলে আউট হয়ে যান অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তবে তখনও ম্যাচে ফেরা যেত। মাঠে ছিলেন শাকিব আল হাসান এবং নিতিশ রানা। রাহুল চাহারের একটি গুগলি পড়তে না পেরে ডিককের হাতে স্ট্যাম্প হয়ে ফিরলেন নিতিশ। ঠিক তার পরের ওভারেই ক্রুনালের বলে একটা শট খেলে টপ এজ লেগে সুর্যকুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শাকিব। শেষে ২ বার জীবনদান পেলেও তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারলেন না স্টার প্লেয়ার রাসেল। ব্যাটে বলে হলো না দীনেশের। রাহুল চাহার তার ৪টি ওভারে কলকাতার ব্যাটিং এর সবথেকে বড়ো ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে কলকাতার ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে এলেন। শেষে ট্রেন্ট বোল্ট, বুমরা আর ক্রুণালের সাশ্রয়ী বোলিং এর দৌলতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা জিতলো ১০ রানে। একটা সময়ে ৩০ বলে ৩১ রান দরকার ছিল, সেখান থেকে একটি ম্যাচ হেরে কিভাবে কেকেআর, সেই নিয়েই চিন্তায় নাইটদের থিঙ্ক ট্যাংক।