২০১২র লন্ডন অলিম্পিকে ষষ্ঠ স্থানেই শেষ করেছিলেন ভারতের আর এক ডিসকাস থ্রোয়ার কৃষ্ণা পুনিয়া। সুদীর্ঘ ন’বছর পর আবার এক ভারতীয় নারী পৌঁছে গেছিলেন ডিসকাস থ্রোয়িং-এর ফাইনালে। মেডেলের আশা জাগিয়েছিলেন ১৩৫ কোটি ভারতবাসীর মনে। কিন্তু শেষ করলেন সেই ষষ্ঠ স্থানে। যদিও বছর পঁচিশেকের কমলপ্রীতের রাস্তা খুব সুমসৃণ ছিলো না।
গত শনিবার যোগ্যতাঅর্জন পর্বে ৬৪ মিটার দূরে ডিসকাস ছুঁড়ে ফাইনালের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন পাঞ্জাবের কন্যা কমলপ্রীত কৌর। ফাইনালে প্রতিপক্ষ্ ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার সান্দ্রা পেরকোভিচ, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যালেরি আলমানের মতো বিশ্বখ্যাত ডিসকাস থ্রোয়াররা। কিন্তু তাঁদের সামনে দাঁড়িয়েও নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রদর্শন করতে থাকেন ‘কমলপ্রীত’। শেষপর্যন্ত তাঁর পাঁচবারের সুযোগের মধ্যে সেরা থ্রো-টি ছিল ৬৩.৭ মিটার। যার ফলে তিনি ষষ্ঠ স্থানে থেকেই এই টুর্নামেন্ট সমাপ্ত করেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ডিসকাস থ্রোয়িং-এর কিংবদন্তী সান্দ্রা পেরকোভিচ কোনও পদক না পেয়েই চতুর্থ স্থানে শেষ করেন তাঁর দৌড়। ৬৮.৯৮ মিটার দূরে ডিসকাস ছুঁড়ে প্রথম হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যালেরি আলমান। ৬৬.৮৬ মিটার দূরে ছুঁড়ে দ্বিতীয় স্থানাধিকারিনী হন জার্মানের ক্রিস্টিন পুদনেজ। তৃতীয় হন কিউবার ইয়াইমে পেরেজ।
যদিও কমলপ্রীতের এই টুর্নামেন্টে লড়াই ছিলও অসম। তাঁর কাছে ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমস ছাড়া ছিল না কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা, অর্থাভাবের কারনে ছিল না কোনও কোচও। তা সত্ত্বেও শেষ বিন্দু পর্যন্ত হার না মানা লড়াই করে গেছেন পাঞ্জাবের এই ‘অগ্নিকন্যা’। তবে অলিম্পিক লেভেলের কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াও মাত্র ২৫ বছর বয়সেই কমলপ্রীত কৌর যে সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন, তাতে বলাই যায় তিনি ভবিষ্যতের ‘সুপারস্টার’।