আইপিএলের (IPL) শুরু থেকেই কথা হচ্ছিল ফাফ ডু প্লেসিস (Faf du Plessis) এবং দীনেশ কার্তিককে (Dinesh Karthik) নিয়ে। এবারের আইপিএলের নিলামে দু'জনকেই তাঁদের দল ছেড়ে দেয়। চেন্নাইয়ের বহু ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ বার করে নিয়ে গেছে ডু প্লেসিস। কিন্তু এবারের আইপিএলে তাঁকে ছাড়তেই হত। অন্যদিকে দীনেশ কার্তিক কলকাতার হয়ে খেলার সময় তেমন কোন কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। কিন্তু চলতি আইপিএলে আজকের ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB) যে খেল দু'জনে দেখালেন, তাতে চেন্নাই এবং কলকাতার সমর্থকদের হা-হুতাশ করতেই হবে। আর বিরাট কোহলির (Virat Kohli) অনবদ্য ইনিংস সমস্ত নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিন টসে জিতেও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব কিংস (PBKS)। ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বে শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস চলতে থাকে। আরসিবিও শুরুটা ভালোই করে। প্রথম ওভারে সন্দীপ শর্মা (Sandeep Sharma) মাত্র ১ রান দেয়। পাওয়ার প্লে-তে ব্যাঙ্গালোরের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪১ রান। ব্যাঙ্গালোরের প্রথম ধাক্কা আসে সপ্তম ওভারের শেষ বলে। রাহুল চাহারের (Rahul Chahar) বলে বোল্ড আউট অনুজ রাওয়াত (Anuj Rawat)।
এরপর মাঠে নামেন কিং কোহলি। ডু প্লেসিস এবং কোহলির অনবদ্য ইনিংস বহুদিন পর উপভোগ করল ক্রিকেট বিশ্ব। ব্যাঙ্গালোর তখন ১৭ ওভারে ১৬৮ রান। সকলেই ধরে নিয়েছেন চলতি আইপিএল সিজিনে প্রথম ২০০ রান হচ্ছেই। ১৮ ওভারের প্রথম বলে আউট ডু প্লেসিস। দলের ক্যাপ্টেনের অবদান ৫৭ বলে ৮৮। আর তাতে ৩ টি বাউন্ডারি ৭ টি ওভার বাউন্ডারি। তারপর ব্যাঙ্গালোরকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। বিরাট কোহলি এবং দীনেশ কার্তিকের অনবদ্য ইনিংসকে ভর করে দলীয় রান মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২০৫। কোহলির ২৯ বলে ৪১ নট আউট, অন্যদিকে কার্তিকের ১৪ বলে ৩২ নট আউট।
পাঞ্জাবের শুরুও দুরন্ত। সেই দিল্লি দল থেকে আসা শিখর ধাওয়ানের অনবদ্য ইনিংস। পাঞ্জাবের ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং শিখর ধাওয়ানের দারুণ পারফরম্যান্স। পাওয়ার প্লে-তে বিনা উইকেটে পাঞ্জাবের সংগ্রহ ৬৩। হাসারাঙ্গার অষ্টম ওভারের প্রথম বলে পাঞ্জাব শিবিরে প্রথম পতন। ২৪ বলে ৩২ রান করে আউট মায়াঙ্ক আগরওয়াল। এরপর শুরু হয় শিখর ধাওয়ানের ঝোড়ো ইনিংস। যদিও ২৯ বলে ৪৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ধাওয়ান। পাঞ্জাব তখন ১২ ওভারে ১২২ রান ২ উইকেটের বিনিময়ে। এরপর মহম্মদ সিরাজের অনবদ্য বোলিং। পরপর দু'টি উইকেট। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও অল্পের জন্য ব্যর্থ। এরপর আসেন লিয়াম লিভিংস্টোন (Liam Livingston)। আইপিএলে যাঁকে নিয়ে বহু কথা হয়েছে। যদিও লিভিংস্টোন ১০ বলে মাত্র ১৯ রান করে ফিরে যান। পাঞ্জাবের তখন প্রয়োজন ৩১ বলে ৫০ রান। পরপর পাঁচ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাব অনেকটাই ব্যাকফুটে।
তারপরেই মাঠে নামেন ওডেন স্মিথ (Oden Smith) এসেই চমকের পর চমক। সিরাজের শেষ ওভারে ২৫ রান ডুবিয়ে দিল আরসিবিকে। ম্যাচের ১ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নিল পাঞ্জাব।