দিল্লির (DC) বিরুদ্ধে রীতিমতো দাপট দেখাল গুজরাট (GT) প্রাক্তন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) ব্যাটার শুভমন গিলের (Shuman Gill) অনবদ্য ইনিংস বহুদিন পর উপভোগ করলেন আইপিএল প্রেমী লোকজন। দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) কম যান না। ব্যাটে-বলে প্রতিপক্ষ দিল্লিকে ভালোই চাপে ফেললেন। শেষমেশ ৬ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১, আইপিএলে মন্দ স্কোর নয়।
এদিন টসে জিতে অধিনায়ক ঋষভ পন্থের দল দিল্লি ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। গুজরাটের পক্ষে ওপেনিং করতে আসেন শুভমন গিল এবং ম্যাথু ওয়াডে (Matthew Wade)। যদিও দিল্লির বাঙালি বোলার মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman) প্রথম ওভারেই ওয়াডে-কে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই মাত্র ১ রান করেই ঘরে ফিরে যান ওয়াডে।
গুজরাটের পাওয়ার প্লে-তে সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান। গুজরাট পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না হারিয়ে বড় স্কোরের লক্ষ্যমাত্রার দিকে অনেকটাই এগিয়ে। যদিও সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই 'চায়না ম্যান' (Chinaman) কুলদীপ যাদবের (Kuldeep Yadav) বলে উইকেট। এরপর দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এবং শুভমন গিলের অনবদ্য ইনিংস গুজরাটের রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার করে দেয়। সেই সঙ্গে গিলের আইপিএলের ইতিহাসে ১১ তম অর্ধ শতরান। দলের জন্য ৬ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির বিনিময়ে ৪৬ বলে ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস। শেষমেশ ৬ উইকেট হারিয়ে দলের স্কোর ১৭১।
দিল্লির বোলিং অ্যাকশন মন্দ নয়। বাঙালি বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট। ২ উইকেট পান খলিল আহমেদ। আর ১ টি উইকেট চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবের দখলে।
দিল্লির ওপেনিং করতে আসে পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw) এবং টিম শেফার্ড (Tim Seifert)। যদিও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে খতম টিম শেফার্ডের ইনিংস। পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে দিল্লি। পাওয়ার প্লে-তে দিল্লির সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৩। মাঠে তখন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) এবং ললিত যাদব (Lalit Yadav)। দু'জনের অনবদ্য ইনিংস দিল্লিকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। যদিও দু'জনের ভুল বোঝাবুঝির কারণে রানআউট হয়ে ফিরে যেতে হয় ললিত যাদবকে।
লকি ফার্গুসনের দুরন্ত বলের দাপটে দিল্লির অবস্থা শোচনীয়। একাই নিলেন চার উইকেট। আর ম্যাচের শেষে মহম্মদ শামীর ধামাকাদার বোলিং। ১৮ তম ওভারে শামীর পরপর দুই উইকেট। শেষমেশ গুজরাট ম্যাচ জিতল ১৪ রানে।