আবারো পাকিস্তান ম্যাচের যেন পুনঃ সম্প্রচার হয়ে গেল ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে। 8 উইকেটে কিউই বাহিনীর কাছে হেরে সেমিফাইনালের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল ভারতের জন্য। গত রবিবারের মত এই রবিবারেও একেবারে অস্তাচলে ভারতের ব্যাটিং ইউনিট। ব্যাট হাতে কে এল রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রিশভ পন্ত কেউ কিছুই করতে পারলেন না। বল হাতেও নিউজিল্যান্ডকে খুব একটা চাপে ফেলতে পারলেন না জসপ্রীত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, মোঃ সামিরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আশা আজকের হারের পর কার্যত শেষ ভারতের। তবে, মন্দের ভালো শুধু একটাই, এবারে অন্তত ২টি উইকেট পড়েছে নিউজিল্যান্ডের।
প্রথমেই টসে হেরে আরবের পিচে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ভারত। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে রোহিত শর্মা নন বরং তার জায়গায় নেমেছিলেন নবাগত ঈশান কিশান। তবে তরুণ উইকেট-রক্ষক ঈশান কিশান এবং আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুল কার্যত জঘন্য ব্যাট করলেন। তারপরে নামলেন রোহিত শর্মা। তিনিও একই অবস্থা। মাত্র ১৪ রান করে লপ্পা ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন সহ-অধিনায়ক। তারপরে ব্যাট করতে নামলেন বিরাট কোহলি, কিন্তু তিনিও আজকে ব্যর্থ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি হাল ধরলেও, উইলিয়ামসনের দলের কোন বোলারের কাছে তিনি টিকতে পারলেন না। মাত্র ৯ রান করে ১৭টা বল খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিরাট কোহলি। একের পর এক ব্যাটসম্যান চার এবং ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিলেন। হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্থ, খারাপ ব্যাটিং করলেন। যদিও পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা শেষের দিকে কিছুটা রান করতে পারলেও, নিউজিল্যান্ডের মত একটা শক্তিশালী দলকে আটকানোর জন্য ১১০ রান অত্যন্ত কম ছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বলে ২০ রান করে মার্টিন গাপটিল ফিরে গেলেও দলকে সহজ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন দারিল মিচেল এবং বর্তমানে পৃথিবীর সব থেকে ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দারিল মিশেল ৪৯ রান করে বুমরার বলে আউট হয়ে গেলেও ডেভন কনওয়েকে নিয়ে ম্যাচটা জিতিয়ে আনলেন কেন। ভারতের হয়ে দুটি উইকেট নিলেন বুমরা। উইকেট না পেলেও বেশ ভালো বল করলেন বরুণ চক্রবর্তী। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজার বোলিংয়ে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। যার ফলপ্রসূ ৮ উইকেটে লজ্জার হার ভারতের। বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান যেভাবে খেলছে তার সামনে হয়তো আর টিকতে পারবে না ভারতীয় ব্রিগেড। নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডকে হয়তো হারাতে সক্ষম হলেও সেমিফাইনালের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বিরাটদের কাছে।