শেষ দিনে ভারতের জেতার জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৫৭ রান। হাতে ছিল ৯৮ ওভার। হাসতে খেলতে যে ম্যাচ ভারতের পকেটে পোরার কথা, সেই ম্যাচ কিনা শেষমেশ ড্র! সৌজন্যে, ইংল্যান্ডের বৃষ্টি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর এটিই ছিল ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। আর সেই ম্যাচে জয়ের এত কাছ থেকে ফিরে এসে স্বভাবতই মনখারাপ খেলোয়াড়দের।
পাঁচ টেস্টের এই সিরিজে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মেন ইন ব্লুজ। প্রথম ইনিংসে ধারালো বোলিং করে ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন বুমরাহ, শামী, শার্দূল। মাত্র ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। প্রত্তুতরে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলের অনবদ্য ৮৪ এবং রবীন্দ্র জাদেজার সাহসী ৫৬-য় ভর করে ভারত তোলে ২৭৮ রান। ইংল্যান্ড তাঁদের সেকেন্ড ইনিংসে ৮৫.৫ ওভারে ১০ উইকেটের বিনিময়ে তোলে ৩০৩ রান। যার মধ্যে ১০৩ রান একাই করেন ক্যাপ্টেন রুট। চতুর্থ দিনের শেষে ব্যাট পায় ভারত। ১৪ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ভারত ওইদিন তোলে ৫২ রান। শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন রোহিত শর্মা এবং চেতেশ্বর পুজারা। দুজনেই ১২ রানে নট আউট ছিলেন। সামনে লক্ষ্যও পর্বতপ্রমাণ ছিল না। তবে জেতার আশায় জল ঢেলে দিল পঞ্চম দিনের বৃষ্টি।
অমীমাংসিত এই ম্যাচের ম্যাচ অফ দ্যা ম্যাচ ঘোষিত হয়েছেন ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন জো রুট। দুটি ইনিংসেই ইংল্যান্ড দল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরলেও একা কুম্ভ হয়ে দুবারই ভদ্রস্থ স্থানে রান পৌঁছতে সাহায্য করেন জো। প্রথম ইনিংসে তাঁর অবদান ছিল ৬৪, দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯।
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১২ই অগাস্ট। ময়দান, ক্রিকেটের মক্কা, লর্ডস। তাই প্রথম ম্যাচে জয়ের এত কাছ থেকে ফিরে আসা ভারতের মুল লক্ষ্য হবে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজের উদ্বোধন করা। অপরদিকে ইংল্যান্ডও চেষ্টা করবে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে তাঁর মাঝেও একটাই কাঁটা রয়ে যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের বৃষ্টি।