যতই ফুটবলারদের ট্রেনিং দেওয়া হোক না কেন সুনীল ছেত্রীকে আটকানো এতটা সহজ নয়। আবারো সেই বিষয়টা প্রমাণ হয়ে গেল ভারত এবং কম্বোডিয়ার এফসি কাপ-এর ম্যাচে। বয়স যতই হোক না কেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chetri) যে এখনো নিজের জায়গা অটুট রেখেছেন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল সেই বিষয়টা। ঈগর স্টিমাচের ছেলেরা কম্বোডিয়াকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করলো আজকের ম্যাচে।
ধারেভারে প্রথম থেকেই ভারতের থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল কম্বোডিয়া। তবুও গ্রুপের এই ম্যাচটাকে ফাইনাল ম্যাচ হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী এবং তাঁর সহ খেলোয়াড়রা। যদিও একটাই কারণ, যদি চার দলের গ্রুপে প্রথম ম্যাচে না জেতা হয়, তাহলে গ্রুপের শীর্ষ স্থান পাওয়াটা অত্যন্ত কঠিন কাজ হয়ে ওঠে। তাই প্রথম থেকেই সেন্ট্রাল ডিফেন্সে আঁটোসাঁটো রেখে দুই উইং থেকে আক্রমণ করা শুরু করেছিলেন মানবীর সিং এবং সুনীল ছেত্রীরা।
মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় বক্সের ভিতরে ভুল করে বসলেন কম্বোডিয়ার ডিফেন্ডার। পেনাল্টিতে অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রী গোল করতে ভুললেন না। প্রথম গোলের পর থেকেই ভারত একেবারে কম্বোডিয়ার উপর জাঁকিয়ে বসলো। ম্যাচের প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না আসলেও দ্বিতীয়ার্ধে কর্নার কিক থেকে ভাসানো বল সুনীলের মাথা ছুয়ে যেই প্রবেশ করল কম্বোডিয়ার গোলপোস্টে, তখনই নির্ধারিত হয়ে গেল ম্যাচের ফলাফল। ২-০ গোলে কম্বোডিয়াকে হেলায় হারাল ভারত। ২০২২ সালে এটাই প্রথম জয় ভারতীয় ফুটবল দলের। জয়ের ফলে এশিয়ান কাপ-এর বাছাইপর্বের শুরুতেই নিজেদের গ্রুপে শীর্ষস্থান দখল করতে সক্ষম হলো ভারত। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া একটু বড় ব্যবধানে জিতে চাইছিল বটে, কিন্তু সেরকমটা হলো না। কোয়ালিফিকেশন এর ক্ষেত্রে সেই বিষয়টা আবার বড় কোনো কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, এটাই এখন চিন্তা ভারতীয় দলের কোচের।