আগেই তিনি জানিয়েছিলেন এটাই হয়তো তাঁর জীবনের শেষ টুর্নামেন্ট। এরপর নিজের কন্যার প্রতি আরও যত্নশীল হবেন, সময় দেবেন স্বামীকেও। হয়তো আরও একবার মা-ও হতে পারেন। নিজের একান্ত সাক্ষাৎকারে স্পষ্টতই একথা জানিয়েছিলেন তিনি। ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে টমলিয়ানোভিচের কাছে হেরে গিয়ে কার্যত সেই জল্পনাতেই শিলমোহর দিলেন সেরিনা উইলিয়ামস (Serena Williams)।
টেনিসের ইতিহাসে তিনি কেবল একটি নাম নন, তিনি ইতিহাস। যতদিন টেনিস থাকবে, ততদিন সেরিনা উইলিয়ামসের নামও লেখা থাকবে। খেলাধূলার জগতে অনেকেই থাকেন, সফল হন, নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষর রেখে যান সেইক্ষেত্রে। কিন্তু সেরিনা উইলিয়ামস তো কেবল একটি নাম নন, আমেরিকার সাদা মানুষদের প্রতি সপাটে চড় তিনি। হ্যাঁ বারাক ওবামা আমেরিকার কালো মানুষদের প্রতিনিধি থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু ততদিনে ১০ টি গ্রান্ড স্ল্যাম জেতা হয়ে গেছে তাঁর। তিনি তো কালো মানুষদের প্রতিনিধি হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এই বৈষম্য সুবিধাখোর সম্প্রদায়ের।
এবারের ইউএস ওপেনের আগেই তিনি অবসরের কথা বলেছিলেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটুকু বাকি। গোটা বিশ্বের টেনিস ভক্তদের বুঝতে বাকি নেই এটাই তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। আর হয়তো সেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে, জিততেই হবে এই মানসিকতা নিয়ে দেখা যাবে না টেনিস কোর্টে। এদিন ৫-৭, ৭-৬, ৬-১ ব্যবধানে টমলিয়ানোভিচের হেরে যাওয়ার সময়ও তাঁর চোখে-মুখে ছিল দীপ্তি। ২৩ বারের গ্রান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকার আর কীই-বা চাই।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, টেনিস থেকে বিদায় নিয়ে মেয়ে অলিম্পিয়াকে আরও সময় দিতে চান তিনি। ফের তাঁর কথায় উঠে এসেছিল লিঙ্গ বৈষম্যের কথা। সাফ জানিয়েছিলেন, যদি তিনি পুরুষ হতেন হয়তো আরও টেনিস খেলতে পারতেন। তিনি তারকা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি তিনি তো মা। তাঁকে তো সন্তানের পাশে থাকতেই হবে। হয়তো আগামী দিনে আরও অনেক টেনিস তারকা উঠে আসবেন, কিন্তু সেরিনা উইলিয়ামস যে জগৎ তৈরি করেছেন, তা অপ্রতিরোধ্য।