এবারে শুধুমাত্র ফুটবলে নয় বরং এবারে আইপিএলে দল কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কর্ণধার গ্লেজার্স। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন গ্লেজারস পরিবারের সদস্যরা। শোনা যাচ্ছে এবার একটি প্রাইভেট ইকুইটি কোম্পানির মাধ্যমে আইপিএলে দল কেনার জন্য দরপত্র তুলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কর্ণধার গ্লেজাররা। আগামী মরশুম থেকে ১০টি দলে আইপিএল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অর্থাৎ এবারে কোটি টাকা টুর্ণামেন্টে আরো দুটি দল যুক্ত হতে চলেছে। বোর্ডের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন দলের জন্য দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে এই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
প্রথমে বোর্ডের কাছে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে ইনভাইটেশন টেন্ডার অর্থাৎ দরপত্র জমা দেওয়ার আবেদন গ্রহণ করতে হবে। শোনা যাচ্ছে নাকি গ্লেজার্স পরিবার একটি প্রাইভেট ইকুইটির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দরপত্র তুলেছে। বোর্ডে তরফ থেকে প্রথমে জানানো হয়েছিল, আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু পরে বোর্ডে তরফ থেকে সেই ডেডলাইন আরো পাঁচ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। শোনা যাচ্ছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কর্ণধাররা দল কেনার জন্য আগ্রহ দেখানোর পরেই ডেডলাইন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ন্যূনতম ২০০০ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তার সাথে সাথেই শর্ত রাখা হয়েছে, যে সমস্ত সংস্থা আইপিএলে দল কিনতে আগ্রহী তাদের ন্যূনতম সম্পত্তির মূল্য হতে হবে ৩ হাজার কোটি টাকা।
সেই শর্ত অনুযায়ী, ওই সংস্থার কর্ণধার এর সম্পত্তির পরিমাণ হতে হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা। কোন বিদেশী সংস্থা যদি দরপত্র জমা দেয় তাহলে তাদের ভারতে কোম্পানি খুলতে হবে। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কর্ণধাররা মার্কিন নাগরিক। সে ক্ষেত্রে যদি তাদের আইপিএলে দল কিনতে হয় তাহলে ভারতীয় সংস্থা খুলে তার পরেই দরপত্র জমা দিতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা দরপত্র কিনবেন কিনা সেটাই এখন দেখার। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিজনেস মডেল গোটা বিশ্বের ক্রীড়া ব্যবসায়ীদের জন্য অন্যতম অনুকরণযোগ্য বিষয়। তাই যদি তারা লাভ না বুঝতে পারেন, তাহলে তারা কোনোভাবেই আইপিএলে দল কিনতে হয়তো রাজি হবেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আইপিএলে দল কেনার জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র জমা দিয়েছেন, আদানি গ্রুপ, টরেন্ট ফার্মা, আরপি সঞ্জিভ গোয়েনকা, জিন্দাল স্টিল, হিন্দুস্তান টাইমস মিডিয়া সহ আরো বেশ কিছু সংস্থা।