ফরাসিরা হেরে গেলো জার্মানদের কাছে। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেও শেষরক্ষা হলো না পিএসজি র। কোম্যানের গোলে ১-০ ব্যবধানে ফাইনাল জিতে নিলো বায়ার্ন মিউনিখ। করোনা পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই দুই দল যেমন গোলের বন্যা বইয়ে আসছিল সেই দেখে ফুটবল প্রেমীদের আশা ছিল ফাইনালে অনেক গোলের। কিন্তু দুই পক্ষের ডিফেন্সে বারবার আটকে গেলো প্রতিপক্ষের আক্রমণ। নেইমার এমবাপে রা বল নিয়ে গোলের কাছে পৌঁছে গেলেও বায়ার্নের অধিনায়ক ম্যানুয়াল ন্যুয়ার বারবার স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে দলকে ষষ্ঠ বারের জন্য ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন করলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লিভারপুল ৬ বার জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর ছয়ের বেশি জিতেছে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ এবং এসি মিলান।
ফাইনালের রাত ছিল দুই পক্ষেরই ফাউলে আর হলুদ কার্ডে ভরা। ৯০ মিনিটে মোট ফাউল ৩৮ এবং হলুদ কার্ড ৮। সব মিলিয়ে ৫৯ মিনিটের মাথায় এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও ডিফেন্সিভ ফুটবলে না গিয়ে আর প্রতিপক্ষকে মানসিক চাপে রেখে বারবার আক্রমণে গিয়েই ম্যাচ বের করে নিলো বায়ার্ন। শেষবার তারা জিতেছিল ২০১২-১৩ সিজনে। কোয়ার্টার ফাইনালে ৮-২ গোলে বার্সেলোনাকে দুরমুশ করার পরেই আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছিল যে বায়ার্নের এর জয়রথ থামানো সম্ভব নয় হয়তো। কিন্তু এতটা সহজে রথ পৌঁছে যাবে ইউরোপের শিখরে সেটাও আন্দাজ করা যায়নি।