ইতালির (Italy) বিরুদ্ধে ইউরো কাপ (Euro Cup) জয়ের স্বপ্ন এবার অধরাই থাকল ইংল্যান্ডের (England) জন্য। গতকাল অর্থাৎ রবিবার মধ্যরাতে ইউরো ফাইনালে আশা জাগিয়ে ইতালির কাছে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত হয় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। পরপর হতাশাজনকভাবে পেনাল্টি মিস করেন রাশফোর্ড, স্যাঞ্চো ও সাকা। আর তার জেরেই ম্যাচের পর এক নক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকতে হলো তাঁদেরকে। তিন ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবাদমূলক মন্তব্য করেন একদল ইংরেজ সমর্থক। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, "এফএ কঠোরভাবে যে কোনোরকমের বর্ণবাদমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিরোধ করে। সংস্থা, ইংল্যান্ড তারকাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসা কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। যদি কেউ বর্ণবাদমূলক মনোভাব পোষণ করে, তাহলে সে আমাদের মধ্যে স্বাগত নয়।" এছাড়াও ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘটনার প্রেক্ষিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই লন্ডন পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ইতালি জিতে যাওয়ায় ইংল্যান্ড সমর্থকরা ইতালি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে এবং তাদের ওপর হামলা চালায়। এমনকি তারা ইতালির জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসলে পরপর তিনটি পেনাল্টি মিসের পর ইংল্যান্ড হেরে গেলে সেই হারের জখম সহ্য করতে পারেনি কিছু ইংল্যান্ড সমর্থক। স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর পর তারা ইতালি সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে ও মারধর শুরু করে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা গিয়েছে এক ইংরেজ সমর্থক ইতালির পতাকাতে থুতু ছেটান। এছাড়াও ম্যাচ শুরুর আগে টিকিট হাতে না থাকা ইংল্যান্ড সর্মথকরা কাতারে কাতারে স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়ে জোরপূর্বক ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দেওয়া হলে বিয়ার বোতল ছুঁড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ইতিমধ্যেই এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ইংল্যান্ড ফুটবল সংস্থা।