আইএসএল এর শেষ মুহূর্তে চেনা ছন্দে ফিরল লাল হলুদ শিবির। জামশেদপুরের একের পর এক আক্রমণ আটকে দিলেন লাল হলুদ গোল কিপার সুব্রত পাল। তার সঙ্গে স্টেনম্যান, পিলকিংটন এর দুরন্ত গোল। সব মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে মশাল জ্বলল লাল হলুদ শিবিরে। আইএসএল এর তৃতীয় জয় তুলে নিল এদিন এসসি ইস্টবেঙ্গল। সব মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তুলে নিতে সক্ষম হলেও তারা। এই পয়েন্টে দৌলতে কেরল ব্লাস্টারকে টপকে ৯ নম্বরে উঠে এলো লাল হলুদ। অন্যদিকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে জামশেদপুর থেকে গেল সাত নম্বরে।
যদিও নির্বাচনের কারণে এদিন ডাগ আউটে ছিলেন না লাল হলুদ কোচ রবি ফাওলার। কিন্তু তার কাজটা তিনি করে দিয়েছিলেন। প্রথম একাদশে তিনি সুযোগ দিয়ে দিয়েছিলেন সুব্রত পাল, সৌরভ দাস এবং সার্থক গলুইকে। তিনজনই এদিনের ম্যাচে সফল। এদিন লাল-হলুদ পেয়ে গেল তাদের অন্যতম বড় স্টপার। এর ফলে ড্যানি ফক্স, মাঘোমা, সৌরভ, গোলুই একসাথে ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে গেলেন।
ম্যাচের প্রথম দিকেই দুর্দান্ত হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন মাঠি স্টেন্ম্যান। এই গোলের ক্ষেত্রে অনেকটা কৃতিত্ব কিন্তু নারায়ন দাস এর। কর্নার কিক নিয়ে মাপা শট মেরেছিলেন একেবারে বক্সে। এরপরেও একটা সুযোগ ছিল নারায়ন দাস এর কাছে গোল করার। তবে যদি দূর থেকে শট না করে একটু কাছ থেকে শট করতেন তাহলে হয়তো গোলটা হত।
প্রথম গোল আসার পরে বেশ কিছুটা ছন্দে ফিরলো ইস্ট বেঙ্গল। মাঝ মাঠ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে সৌরভ পাশ দিয়ে দিলেন স্টেনম্যানকে। তারপরেই জার্মান ফুটবলার পাসটি বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা এন্টনি পিলকিংটন কে। ডিফেন্ডার সামনে থাকা সত্বেও পিলকিংটন বলটি সোজা জালে জড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। এই জয় এরপরে কিছুটা হলেও প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। তবে সব থেকে বড় ব্যাপার এই দলের আত্মবিশ্বাস বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে এবারে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান এর মধ্যে ডার্বি ম্যাচ। তার আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরের জন্য অক্সিজেনের কাজ করতে চলেছে জামশেদপুর এর বিরুদ্ধে এই জয়।