এফএসডিএল যখন হস্তক্ষেপ করতে শুরু করলো তারপর থেকে মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল আবারও নতুন করে জেগে উঠবে। কিন্তু শ্রী সিমেন্ট এর নতুন চুক্তিপত্র দেখার পরে কিন্তু সেরকমটা মনে হচ্ছে না। একটা সময় মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের মশাল আবার জ্বলে উঠবে, কিন্তু, ঠিক তখনই সেই ইস্টবেঙ্গলের মাথার উপরে নেমে এলো কাল দুর্যোগের ছায়া। শ্রী সিমেন্ট এর নতুন চুক্তিপত্র দেখে ক্লাবের কার্যকরী কমিটি থেকে শুরু করে সকলেই বুঝতে পারলেন এই চুক্তিপত্রে সই করা যাবে না। নতুবা ক্লাব বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু, এই মুহূর্তে স্পনসর্শিপ কোথা থেকে আসবে? আদৌ কি আইএসএল এবং কলকাতা লীগে টিম নামাতে পারবে ইস্টবেঙ্গল?
যেখানে এটিকে মোহনবাগান একের পর এক তারকা প্লেয়ার নিজেদের টিমে সংযুক্ত করেছে এবং ঘর গোছানো শুরু করে দিয়েছে সেখানে এস সি ইস্টবেঙ্গলে গৃহযুদ্ধ লেগেই রয়েছে। এই মৌসুমে আবার ইস্টবেঙ্গল খেলবে কিনা সেই নিয়ে ঘর সংশয়ের পরিবেশ। মাঝখানে এফ এস ডি এল এর মধ্যস্থতায় টার্ম শিট থেকে কিছু পয়েন্ট পরিবর্তন করে নতুন করে একটি চুক্তি পত্র তৈরি করা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল সেই চুক্তিপত্র আসার পরে ক্লাবের সমস্যা মিটবে। কিন্তু যখন নতুন চুক্তিপত্র এল, তখন দেখা গেল এই চুক্তি আগের চুক্তির থেকেও ভয়ংকর। ফলে এই চুক্তিপত্রে সই করা মানে ইস্টবেঙ্গল হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া। তাই সই করা যাবে না।
তাহলে এখন উপায়? চলতি মরশুমে আইএসএল কিংবা কলকাতা লীগ এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতাতে খেলা অত্যন্ত অনিশ্চিত লাল-হলুদের জন্য। এ বছর যদি আইএসএলে কোয়ালিফাই না করতে পারে তাহলে কলকাতা লিগ খেলতে পারবে না লাল হলুদ শিবির। যদিও আগস্ট মাসে কলকাতা লিগ শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত দলই তৈরি হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। এমনকি, সংস্থার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চুক্তিপত্র যদি না হয় তাহলে খেলা সম্ভব নয়। ইস্টবেঙ্গল এর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যার বিষয়টি হলো তাদের চুক্তি। এই চুক্তিতে, নিজেদের প্লেইং রাইট সম্পূর্ণরূপে শ্রী সিমেন্ট এর হাতে তুলে দিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এরকম জায়গায় নতুন চুক্তিপত্রের যদি সই করা হয় তাহলে, শুধু এই মরশুম না কোন মরশুমেই আর খেলতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। ফলে, এই মুহূর্তে ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মাথায়।