এভাবেও ফিরে আসা যায়? শেষ পর্যন্ত লড়াই জারি রেখে এভাবে জয় ছিনিয়ে আনা অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো। সেই অবিশ্বাস্য রূপকথার গল্পকে বাস্তবের গল্পে রূপদান করল ভারতীয় বোলাররা। লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে রচিত হল আর এক নতুন ইতিহাস। ক্রিকেটের ইতিহাস বিরাট কোহলি (Virat Kohli) অ্যান্ড কোং তৈরি করলেন এক নতুন রেকর্ড। কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনির পর আর এক নতুন রেকর্ড ছুঁলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
পাঁচ দিনের খেলায় প্রথম থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। ভারত প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে সংগ্রহ ৩৬৪, যেখানে কেএল রাহুলের দুরন্ত ১২৯ রান। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩৮১, রুটের অপরাজিত ১৮০ রান। তখনও চমকের শুরু হয়নি। শুরু হল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস থেকে। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের স্কোরবোর্ডে ছিল ১৮১ রান। ক্রিজে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা ৩ এবং ঋষভ পন্থ ২২। সোমবার তাঁরা প্যাভিলিয়নে ফিরলে দলের হাল ধরলেন মহম্মদ শামি এবং যশপ্রীত বুমরাহ। বোলার শামি চমকে দিলেন অপরাজিত ৫৬ রানের রেকর্ড করে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্ধ-শতরান করে দলকে অনেকখানি এগিয়ে দেন তিনি। দোসর আরেক ভারতীয় পেসার বুমরাহ ৩৪। তাঁদের ব্যাটে ভর করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই আট উইকেটে ২৯৮ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করলেন ক্যাপ্টেন কোহলি।
ব্যাট হাতে বুমরাহ দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর বল হাতেও দিলেন একের পর এক চমক। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই বুমরাহর বলে চলে যেত হল এক ইংরেজ ব্যাটসম্যানকে। আর এইভাবেই শুরু হল ইংরেজ বধের পালা। ২৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১২০ রানেই ল্যাজেগোবরে অবস্থা হল ব্রিটিশদের। আর ১৫১ রানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।