সপ্তমবারের জন্য পুরুষদের বিভাগে ব্যালন ডি'অর (Ballon d'Or 2021) জিতলেন ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। সেই সঙ্গে মহিলা বিভাগে প্রথমবারের জন্য এই পুরস্কার পেলেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস (Alexia Putellas)। প্যারিসে সোমবার রাতে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হল এই সম্মান। বর্ষসেরা ফুটবলারদের তালিকায় ফের এক অনন্য সম্মানের সংযোজন ঘটালেন এলএম ১০। প্রতিযোগিতায় প্রথম পাঁচেও নেই আর এক ফুটবলের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোলান্দো (Cristiano Ronaldo)।
বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে চলতি বছরের গত অগাস্টে পিএসজিতে যুক্ত হয়েছেন মেসি। বিদায়ী ক্লাবে শেষ মরশুমটা ভালো কাটেনি মেসির। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩০ গোল করে অষ্টমবারের জন্য জিতেছিলেন ট্রফি। গত জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাঠেই হারিয়ে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জেতার নেতৃত্ব দেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে নতুন শিরোপা অর্জন করে আর্জেন্টিনা। এই লড়াইয়ে চার গোল করে ও পাঁচটি করিয়ে সামনে থেকে পথ দেখান তিনি। আসরে ব্রাজিলের নেইমারের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন এই ৩৪ বছর বয়সী তারকা। এবার ফের সপ্তমবারের জন্য পুরুষদের বিভাগে ব্যালন ডি'অর জিতে নিজের জাত চেনালেন।
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি পরপর ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত চারবার এই অনন্য সম্মান পেয়েছিলেন। এরপর পান ২০১৫ সালে। পরের তিনবছর মেসির জন্য ভালো সময় ছিল না। এরপর শেষ পান ২০১৯ সালে। আর ২০২১ সালে সপ্তমবারের জন্য ব্যালন ডি'অর জিতে নতুন রেকর্ড করলেন। এই তালিকায় আর এক ফুটবলের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোলান্দো পাঁচবার জিতেছেন। সিআর ৭ সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে মেসি যে আরও দু'ধাপ এগিয়ে গেলেন বলাই বাহুল্য।
১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধুমাত্র ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোন খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে। এরপর ২০১০ সালে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়ে যায়। যদিও ২০১৬ সাল থেকে ফের একাই ব্যালন ডি'অর পুরস্কার প্রদান করছে ফ্রান্স ফুটবল। এই পুরস্কার একটি বিশেষ পদ্ধতিতে সাংবাদিকদের দেওয়া ভোটের নিরিখে ঠিক হয়ে থাকে। আর এই নিয়ে সপ্তমবারের জন্য ব্যালন ডি'অর জিতলেন এলএম ১০।