ম্যাচের ৮৫ মিনিটে রয় কৃষ্ণ করলেন তার একটি দুর্ধর্ষ গোল। আর সেই গোল হতে না হতেই একেবারে লীগ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেলো অ্যান্টোনিও লোপেজ হাভাসের এটিকে মোহনবাগান। বেশ কয়েকটি সুযোগ প্রথম দিকে পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ ছিলেন বাগানের খেলোয়াড়রা। কিন্তু দলের নির্ভরযোগ্য সৈনিক ৮৫ মিনিটে সেই ভুলটা করলেন না। শেষ পর্যন্ত সেই কৃষ্ণ ম্যাজিকে শেষ হলো জামশেদপুর বনাম মোহনবাগানের ম্যাচ। আর ব্যবধান, তা ছিল ১-০।
এদিন বাগানের খেলোয়াড়রা এক তীরে দুই পাখি মারলেন। পরপর তিন ম্যাচে জয়ের মুখ দেখার পরে প্রথমবার জামশেদপুর এফসির কাছেই হারের স্বাদ গ্রহন করতে হয়েছিল সবুজ মেরুন বাহিনীকে। সেই হারের মিষ্টি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এদিনের ম্যাচটিকে বেছে নিলেন বাগানের খেলোয়াড়রা। এই ম্যাচে প্রণয় হালদারের পরিবর্তে মেরিনার্সের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন প্রীতম কোটাল।
খেলা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পরে চমকে দেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু গোলটা হয়নি। তার ঠিক ১০ মিনিট পরেই আবারো গোলের সুযোগ আসে কৃষ্ণার কাছে। সেবারেও ক্রসে মাথা ঠেকাতে ব্যর্থ হন মোহনবাগানের তুরুপের তাস। ফলে শেষমেশ গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে আরো বেশি উন্মাদনা নিয়ে মাঠে নামে বাগান ব্রিগেড। জিততে তাদের হবেই, এরকম মানসিকতা নিয়ে ফুটবল খেলতে শুরু করে তারা। ৬৬ মিনিটের মাথায় এসেও যায় সুযোগ। কিন্তু , জামশেদপুর এর গোলরক্ষকের সুরক্ষিত গ্লাভসে গিয়ে জমা পড়ে মার্সেলিনোর সোজা শট। খেলায় ছিল চরম চাপান উতোর। শেষে ম্যাচের ৮৫ মিনিট, দর্শকদের আশা ততক্ষণে প্রায় তলানিতে, ঘটে গেলো বহু প্রতীক্ষিত কৃষ্ণ ম্যাজিক। ৮৫ মিনিটের মাথায় জামশেদপুর ডিফেন্ডারদের থেকে ট্যাকেল করে বল সোজা জালে জড়িয়ে দিলেন রয় কৃষ্ণ। শেষ লগ্নে আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি জামশেদপুর। ফলে খেলা শেষ হলো ১-০ ব্যবধানে। এই জয়ের পরে লীগ তালিকার একেবারে শীর্ষে পৌঁছে গেল মেরিনার্সরা।