দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর তিন গোল দিয়ে আইএসএলের এদিনকার ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করল এটিকে মোহনবাগান। কেরালা ব্লাস্টার্স কে তারা শুধুমাত্র পরাজিত করল না, বরং এবারে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ানরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হলো। আর এবারেও মোহনবাগানের হয়ে সবথেকে ভালো খেললেন সেই রয় কৃষ্ণ। এছাড়াও সবুজ মেরুন জার্সিতে প্রথমবার নজর কাড়লেন মার্সেলিনো। বর্তমানে ১৪ ম্যাচ খেলে এটিকে মোহনবাগান অর্জন করল ২৭টি পয়েন্ট। বর্তমানে লীগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হল অ্যান্টোনিও লোপজ হাবাস এর এই দল। অন্যদিকে, ১৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লীগ তালিকার নবম স্থানে পৌঁছে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স।
প্রথমার্ধের শুরুর ১০ মিনিটে একের পর এক আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান।মার্সেলিনহো এবং রয় কৃষ্ণা একের পর এক আক্রমণ করতে তাকেন বিপক্ষের গোলপোস্টে। কিন্তু, গোলের মুখ দেখতে অক্ষম ছিলেন তারা। অন্যদিকে প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে ম্যাচের প্রথম গোল অর্জন করে কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় দূরপাল্লার শটে সবুজ মেরুন গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে ধরাশায়ী করে দেন কেরালা ব্লাস্টার্স এর গ্যারি হুপার। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে কিবু ভিকুনার দল। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ করে এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হতে না হতেই ম্যাচের ৫১ মিনিটের মাথায় আরো একটি গোল করে দেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। দ্বিতীয় গোলের পরে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। তারপরে আশঙ্কায় তাদের আক্রমণ পরিবর্তন করে ফেলে মোহনবাগান। মনবীর সিং, রয় কৃষ্ণা এবং মার্সেলিনো কে অস্ত্র করে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে এটিকে মোহনবাগান।
মনবীর সিং এর একটি দুর্দান্ত থ্রু বল নিয়ে আলবিনো গোমসের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে দুর্দান্ত ক্ষমতায় বল জালে জড়িয়ে দেন মার্সেলিনো। তারপর আক্রমণে আরো জোর দিতে থাকে সবুজ মেরুন। ৬৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। সেখানে কিন্তু গোল করতে ভুললেন না রয় কৃষ্ণা। তারপর ৮৭ মিনিটের মাথায় ম্যাচের শেষ গোলটি করেন রয় কৃষ্ণা। এবারের সিজনে রয় কৃষ্ণার এটি নবম গোল। এই গোলের পর এই জয় প্রায় স্পষ্ট হয়ে যায় মোহনবাগানের। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে কেরালা ব্লাস্টার্স।