ছোটদের ত্বকের যত্ন নিয়ে বাবা মায়েদের চিন্তার অন্ত নেই। বড়দের ত্বকের যত্নের জন্য থাকে নানা রকম উপায়। কিন্তু ছোটদের! অথচ ছোটদের ত্বকই হয় সবচেয়ে স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল। তাই উপযুক্ত যত্ন না নিলে, দেখা দিতে পারে অনেক রকম সমস্যা।
কীভাবে শিশুর ত্বকের যত্ন নেবেন, সেই খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন শিশুর ত্বক ও শরীর সম্পর্কিত বিষয়ে।
প্রোডাক্ট সতর্কতা - শিশুর ত্বক হয় অত্যধিক কোমল ও সংবেদনশীল। তাই কোনও প্রোডাক্ট তাঁর ত্বকে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই যাচাই করে নেবেন। প্রোডাক্ট যাতে কোনও রকম ডাই, অ্যালকোহল, প্যারাবেনস বা সিন্থেটিক ফ্র্যাগনান্সযুক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সামান্য প্রোডাক্ট নিয়ে প্রথমে শিশুর কানের পিছনে বা কনুইয়ের কোনও অংশে সামান্য লাগিয়ে একদিন অপেক্ষা করতে হবে (প্যাচ টেস্ট)। যদি সেই অংশে কোনও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া না হয়, তাহলে প্রোডাক্টটি নিয়মিত ব্যবহার করা যাবে।
মশ্চারাইজার - শিশুকে স্নানের পর এবং রাতে শোওয়ার আগে নিয়মিত গায়ে বডি লোশন বা মশ্চারাইজার লাগাতে হবে। স্নানের পর অনেক সময়েই শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে শিশুকে সঠিক পদ্ধতিতে মশ্চারাইজার মাখানো ভীষণ জরুরী।
ডায়পার - শিশুর ত্বকের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারেন আলকোহল ও প্যারাবেনমুক্ত ডায়পার বা ওয়াইপস। কারণ আলকোহল ও প্যারাবেন আপনার ছোট্ট সোনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
তেল মালিশ - স্নানের আগে শিশুদের তেল মালিশ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বেবি ওয়েল ছাড়াও অলিভ অয়েল বা গ্লিসারিনের সঙ্গে জল মিশিয়ে ভালো করে সারা গায়ে মালিশ করতে পারেন। এর ফলে শিশুর দেহে রক্ত সঞ্চালন যেমন সঠিক হয় তেমনই তা বৃদ্ধি-সহায়ক হয়।
স্নান - বিশেষজ্ঞেরা বলে থাকেন, দেড় মাস পর্যন্ত শিশুকে একদিন অন্তর স্নান করালেও হবে। কিন্তু দেড় মাস পেরিয়ে গেলে নিয়মিত স্নান করানো জরুরি। খেয়াল রাখবেন, শিশুর সাবান যেন তার উপযোগী হয়। এর জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। সাধারণত গরম জলেই ভালো করে গা মালিশ করে স্নান করানোই শ্রেয়। গরম বা শীত, কোনও ঋতুতেই স্নান বাদ দেওয়া চলবে না। তবে যে সকল শিশুর ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, তাদের ক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ একান্ত কাম্য।
পোশাক - শিশুদের কোমল ত্বকের জন্য যে কোনও ধরনের পোশাক উপযোগী নাও হতে পারে। এমন পোশাকও আছে যা শিশুর দেহে ইনফেকশন সৃষ্টি করে। তাই সেইদিকে জোরালো নজর দেওয়া উচিত। একেবারে হালকা, ঢিলে ঢালা, হাওয়া খেলে যাওয়া পোশাকই বিশেষ উপযোগী হবে শিশুর ক্ষেত্রে।
[বিঃদ্রঃ - সব কিছুর আগে আপনার শিশুর জন্য অবশ্যই পরিচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।]