কোভিড আবহে (Covid-19) বদলে গেছে মানুষের কাজের ধরণ। বদলেছে কাজের সময়ও। চিরাচরিত ১০-৫ টার ডিউটিতে পড়েছে ছেদ। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী ছাড়া অধিকাংশ অফিস, স্কুল এমনকী আদালতের কাজকর্ম চলছে ঘরে বসে। যার পোশাকি নাম 'Work From Home'। কিন্তু বাড়ির ছোট্ট পরিবেশের মধ্যে পড়তে হচ্ছে নানান ঝামেলায়। করা যাচ্ছে না ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জরুরি মিটিং কিংবা কোন জব ইন্টারভিউ। পাশাপাশি ইলেকট্রিসিটি এবং ইন্টারনেট সংযোগের অব্যবস্থা তো আছেই। এই সমস্যার সমাধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু হয়েছে 'Work Pods' ব্যবস্থা। এবার কলকাতার উপকন্ঠে নিউটাউনে (New Town) চালু হতে চলেছে এমন পরিষেবা।
কী এই ওয়ার্ক পড? ওয়ার্ক পড হল কাঁচের তৈরি অল্প পরিসরের একটি কিউবিকল, যেখানে কাজের সুবিধার জন্য থাকবে বিদ্যুৎ সংযোগ। সঙ্গে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে কলকাতার মানুষের কাছে বিষয়টি নতুন। অনলাইন কাজকর্ম, অফিসিয়াল কাজ বিশেষ করে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর কাজের উপযুক্ত জায়গা হল এই ওয়ার্ক পড। যেখানে অল্প পরিসরের মধ্যেই একজন মানুষ তাঁর অফিসিয়াল সমস্ত কাজকর্ম করতে পারবেন। কলকাতায় KNTA এই পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে।
একটি ওয়ার্ক পডে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন মানুষ। প্রতি ৯০ মিনিটের জন্য ব্যয় করতে হবে ৩০ টাকা। আপাতত ২০ জন এই ওয়ার্ক পডে বসে কাজ করতে পারবেন। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ওয়ার্ক পডে মিলবে হাই স্পিড ইন্টারনেট। আপাতত স্পটে গিয়ে বুকিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ক পড ভাড়া নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তবে ভবিষ্যতে স্লট বুকিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ক পড ভাড়া নেওয়া যাবে বলে জানা গেছে। কাজের পাশাপাশি মিলবে চা, কফি এবং খাবার। অবশ্য তার জন্য দিতে হবে আলাদা চার্জ। আগামী ১৩ অগাস্ট থেকেই নিউটাউনে চালু হয়ে যাচ্ছে এই পরিষেবা। তবে কলকাতার কাছে এই নতুন বিষয় কতটা গ্রহণযোগ্যতা পায়, তাই এখন দেখার বিষয়।