বাংলায় শীতের বিদায়, বরং আজ থেকে ভিজতে পারে বাংলা।আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে এবারের মতো শীতকে বিদায় জানাতেই হচ্ছে। কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি।
উল্লেখ্য, আগামী কয়েক দিন ক্রমশ বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তার সঙ্গে শীতের আমেজ চলে গিয়ে এক বসন্তকালীন অনুভূতির কথা বলছেন একাংশ। এর সঙ্গে আছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ থেকে ভিজতে পারে বাংলা। আর বুধ ও বৃহস্পতিবার বাংলার প্রায় অধিকাংশ জেলায় কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব ভারতের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে আজ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। মূলত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এদিকে ১২ জানুয়ারি থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির কথাও বলা হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রকোপে এমনিতেই শীতের দাপট কমেছে। উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশে প্রধান বাধা এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সঙ্গে বৃষ্টির ভ্রুকুটিতে চিন্তিত বাংলার কৃষক। অসময়ের এই বৃষ্টি মাঠের ফসলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা। তবে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত নেই।
উল্লেখ্য, আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। অন্যদিকে আগামীকাল থেকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদা, জলপাইগুড়ি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। কৃষকদের আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। বিশেষ করে আলু চাষীদের মাঠের চারপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। অকালে এমন ভারি বৃষ্টির জেরে ফের মাথায় হাত চাষীদের।