শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে একের পর এক রহস্যজনক খুন। গত কয়েক দিনে পর পর খুনের ঘটনায় ঘাম ছুটেছে গোয়েন্দাদের। বেহালার (Behala) পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের গলা কেটে খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, এর মধ্যে ফের গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল হরিদেবপুর (Haridebpur)। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে হরিদেবপুরের একটি লেদ কারখানা থেকে বছর পঞ্চান্নর একজন নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম তপন দে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই প্রৌঢ়কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, মৃত তপন দে-র হরিদেবপুরের রামনগরে একটি লেদের কারখানা ছিল। তিনি এই কারখানায় একাই কাজ করতেন বলে খবর। অধিকাংশ দিন গভীর রাত পর্যন্ত একাই কাজ করতেন, তবে বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ থাকত। এদিন অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় মৃত তপন দে-র স্ত্রী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বারবার ফোন করার পরও কোন উত্তর মেলেনি। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করে খোঁজখবর নিতে বলেন। মৃত তপন দে-র শ্বশুরবাড়ি সেই লেদ কারখানার পাশেই। শ্বশুরবাড়ির লোকজন গভীর রাতে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখে কারখানায় ফ্যান, আলো সবই জ্বলছে কিন্তু ঘরের একটা কোনায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তপন দে। এই দৃশ্য দেখার পর শ্বশুরবাড়ির লোকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। খবর পাঠানো হয় হরিদেবপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেছে।
মৃতের পরিবারের তরফে জানা গেছে, মৃত তপনবাবু খুব কম কথা বলতেন। কারখানার কাজ একাই সামলাতেন। কোন কর্মচারী ছিল না। এর পাশাপাশি রোজই অনেকটা রাত করে ঘরে ফিরতেন। কিন্তু এমন ঘটনার কথা স্বপ্নেও তাঁরা ভাবেননি। এই ঘটনার পর লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করেছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি কোন পুরনো শত্রুতা এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দু'টি নৃশংস খুনের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।