ভাড়াবাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি কোপ এবং খুনের চেষ্টা। বাড়ির ভেতর থেকে মহিলার গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীদের হাতেই উদ্ধার গুরুতর জখম মহিলা। তবে এর নেপথ্যে প্রকৃত কারণ ঘিরে ধোঁয়াশায় পুলিশ। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি গুপ্ত শত্রুতা সব মিলিয়ে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঠিক কী? সূত্রের খবর, আক্রান্ত মহিলার নাম শ্রীমতী মন্ডল। তিনি মাস খানেক আগে ছেলের এবং এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগুইআটির বারুইপাড়া এলাকায় ঘরভাড়া নেন। বাড়িওয়ালার নাম কার্তিক ঘোষ। জনৈক ব্যক্তির নাম অমিত মজুমদার। তিনি নিজেকে শ্রীমতী মন্ডলের স্বামীর পরিচয় দিয়ে থাকতে শুরু করেন। এরপর থেকে সুখেই তাঁদের ঘরকন্না চলতে থাকে। তবে বৃহস্পতিবার আচমকাই তাঁদের সুখের সংসারে ছন্দপতন ঘটে। সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই অমিত মজুমদার একজন ব্যক্তিকে নিয়ে শ্রীমতী দেবীর বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রথমে কারোর কোন সন্দেহ হয়নি। হঠাৎ-ই সন্ধ্যে নাগাদ মহিলার গোঙানির শব্দ শোনা যায়। আর নিজের ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছেন শ্রীমতী দেবী। স্থানীয়রা দেখতে পান ততক্ষণে তাঁর সর্বাঙ্গ রক্তে লাল। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এমন ঘটনার কারণ কী? এর নেপথ্যে প্রকৃত ঘটনা কী? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। প্রশ্ন উঠেছে অমিত মজুমদার কি আদৌ শ্রীমতী দেবীর স্বামী ছিলেন? নাকি অন্য কেউ? তাহলে তিনি কেনই-বা শ্রীমতী দেবীকে ছুরিকাঘাত করেন? এছাড়া নানা প্রশ্ন তাড়া করছে পুলিশকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অমিত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে শ্রীমতী দেবী কোথায় থাকতেন তার খোঁজ চলছে। সূত্রের খবর, তিনি এর আগে দক্ষিণ কলকাতায় থাকতেন। প্রয়োজনে যে এলাকায় থাকতেন, সেই এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রীমতী মন্ডল। প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। তবে গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ভাড়া দেওয়ার সময় আরও সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেছেন একাংশ।