শহর কলকাতায় (Kolkata) পর প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস। দেবাঞ্জন দেব কিংবা সনাতন রায়চৌধুরী কাণ্ডের পর এবার ভুয়ো পুলিশ সেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ভুয়ো নিয়োগপত্র, পুলিশের পোশাক, বেল্ট, ব্যাজ তৈরি করে ফেলেছিল অভিযুক্তরা। যদিও কেউ কলকাতার বাসিন্দা নয়। অবশেষে পুলিশের জালে ৪ অভিযুক্ত বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রের জানা ধৃত ৪ জন বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। ধৃত মাসুদ রানা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, রবি মুর্মু মালদহ, শুভ্র নাগ গাইঘাটা এবং পরিতোষ বর্মণ মেদিনীপুরের বাসিন্দা। মাসুদের কাছ থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে পুলিশের শীর্ষ কর্তা ভুয়ো পরিচয়পত্র এবং পুলিশের বিভিন্ন দফতরের ভুয়ো নিয়োগপত্রও। জানা গেছে, ধৃত মাসুদ রানা নিজেকে ডেপুটি পুলিশ সুপার হিসেবে পরিচয় দিতেন। আর বাকিরা নিজেদের পুলিশের আধিকারিক বা বিভিন্ন দফতরের কর্তা বলে পরিচয় দিতেন। আর চাকরি দেওয়ার নাম করে লোকদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ এসেছে।
অভিযুক্তরা নিজেদের ভুয়ো পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতাতেন। এই ভাবে শালবনির বাসিন্দা সমরেশ মাহাতোর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতানোর অভিযোগ ওঠে। সমরেশ মাহাতো বাধ্য হয়ে বউবাজার থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে বড়সড় প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলেছে পুলিশের।