শুক্রবার সকালে কলকাতা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমারের একাংশ ঘুমের ঘোরে কেঁপে উঠল। কম্পনের স্থায়িত্ব কাল ৩০ সেকেন্ড। ভোর ৫ টা ১৫ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড নাগাদ এই কম্পনের অনুভূতি হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.১। উৎসস্থল মায়ানমারের সীমান্ত। এই ঘটনায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রভৃতি এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল মিজোরামের থেনজল থেকে ৭৩ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে ও ১২ কিমি গভীরে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে উৎসস্থল ১৭৪ কিমি পূর্বে। ত্রিপুরার অমরপুরের পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে ১৮১ কিলোমিটার, মণিপুরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ২১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। মিজোরামের থেনজেল থেকে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাত্র ৭৩ কিলোমিটার। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালেও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ তাঁদের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
এই ভূমিকম্পের প্রভাব কলকাতার উপরও পড়েছে। শুক্রবার শীতের সকালে প্রায় সকলেই যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, ঠিক তখনই কলকাতায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। কয়েকটি কোম্পানির কর্মচারী অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের নাইট শিফটে কাজ চলছিল। কলকাতা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ২৪ পরগণার মানুষও এই কম্পন টের পেয়েছেন। ভূমিকম্পের উৎসস্থল মায়ানমারের সীমান্ত হওয়ায় উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কম্পনের জোরাল অনুভূতি ধরা পড়েছে। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এই ভূমিকম্পের জোরাল অনুভূতি হয়েছে বলে খবর।