বাবার মৃত্যুর পর মা দ্বিতীয় বিবাহ করেন। ২০১৮ সাল নাগাদ মা-ও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকেই সৎ বাবার বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ ওঠে। প্রথমে ভয়ে সবকিছুই মুখ বুজে সহ্য করে নেন সেই কিশোরী। এমনকী ঘটনা প্রকাশ করলে তাঁকে খুনের হুমকিও দেয় সেই অভিযুক্ত সৎ বাবা। দিনের পর দিন সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একজন প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে থানায় দ্বারস্থ হন সেই কিশোরী। আর সেই মামলায় এবার নজিরবিহীন শাস্তি দিল আদালত। সৎ মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে ৪০ বছর কারাবাসের সাজা দিল শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court)।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি পার্ক সার্কাস এলাকার। বহুদিন ধরেই অভিযুক্ত সৎ বাবা এই নিগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপরও নিগৃহীতা কিশোরী কিছু বলতে পারেননি। তবে এলাকার কিছু মানুষের সহায়তায় পুলিশের দ্বারস্থ হলে তৎপরতার সঙ্গে কলকাতা পুলিশ গোটা বিষয়টি দেখেন। আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মামলার রায় ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। আর এমন জঘন্যতম ঘটনায় নজিরবিহীন শাস্তি দিয়েছে আদালত।
এর আগে পকসো আইনে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এমনকী আমৃত্যু কারাবাস এবং মৃত্যুদন্ডও হতে পারে। তবে শিয়ালদহ আদালতের এই শাস্তি নজিরবিহীন। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ৪০ বছরের কারাবাসের সাজার ঘটনা ঘটেনি বলছেন আইনজীবীদের একাংশ। তবে সৎ বাবার এমন জঘন্যতম ঘটনায় এই শাস্তিও যথেষ্ট নয় বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রে খবর, সেই নিগৃহীতা তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার পর ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। এমনকী জামাকাপড় ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে সেই ঘটনায় শিলমোহর পড়ে। ১৩ জন সাক্ষীর বয়ানেও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আর তার প্রেক্ষিতেই এমন নজিরবিহীন শাস্তির কথা শুনিয়েছে আদালত।