'বুড়ি' খাঁচায় ছিলেন। দিব্যি খাচ্ছিলেন, ঘুমোচ্ছিলেন। কতক্ষণ আর শুয়ে-বসে থাকা যায়। চলো, একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। একটু ফাঁক পেতেই টুক করেই খাঁচা ছাড়া। এদিকে তাঁর এমন কাজে লোকেদের প্রাণ যে খাঁচা-ছাড়া অবস্থা। অনেক বুঝিয়ে তবেই বুড়িতে ফেরানো গেল খাঁচায়।
ভাবছেন কার কথা বলছি? এই বুড়িই-বা কে? 'বুড়ি' আলিপুর চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জি। সোমবার সকালে খাবার দিতে যাওয়ার সময় অল্পের জন্য ফাঁক পেয়েই খাঁচা ছেড়ে বাইরে। তারপর সে কী কাণ্ড। ততক্ষণে খবর চাউর হতেই চিড়িয়াখানার সমস্ত গেট বন্ধ। শুরু হয়েছে তল্লাশি। একবার চিড়িয়াখানা টপকালেই বুড়িকে আর পায় কে!
সূত্রের খবর, এর আগেও বুড়ির খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার রেকর্ড আছে। এইভাবে বারবার বেরিয়ে পড়ায় বুড়িকে নিয়ে চরম অস্বস্তি চিড়িয়াখানায়। আজ সকালে তাকে খাবার দিতে যাওয়ার সময় মূল ফটক ছিল খোলা। সেই ফাঁকেই চম্পট। এদিকে চিড়িয়াখানায় হুলুস্থূল কাণ্ড। বুড়ি তখন এদিক-ওদিক। অনেক চেষ্টার পর বুড়ি এল বাগে। একাংশ বলছেন, বুড়ি যদি সত্যিই বাইরে বেরিয়ে আসত, তাহলে আজ কলকাতায় কী হত? সে যাগ গে! বুড়ি অবশেষে দিয়েছে ধরা।