পিসিকে চিকিৎসার জন্য এনেছিলেন কলকাতায় (Kolkata)। হাসপাতালেই এক চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় তারা বলে অভিযোগ। তারপর বেঁকে বসে চিকিৎসক। অগত্যা সেই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনাটি কলকাতার আরজিকর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital)। বছর খানেক আগে বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা এক নার্সিং ছাত্রী আরজিকর হাসপাতালে নিজের পিসিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। পিসির চিকিৎসার সময় একজন ডাক্তারের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সেই আলাপ ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৭, ৩৭৬, ৫০৬ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত চিকিৎসক পাতিপুকুরে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। সেই নার্সিং ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাড়াবাড়িতে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁদের মধ্যে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশ কয়েকবার বিয়ের কথা বললেও অভিযুক্ত চিকিৎসক বিয়ে করেননি। উল্টে নাকি সেই সম্পর্ক রাখতে চাইছিলেন না। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ছাত্রী।
উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে লেকটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেই ছাত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে সেই চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং প্রতারণার মামলা আনা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে ধৃত চিকিৎসক।