শেষপর্যন্ত আনন্দপুর গুলিকান্ডের অন্যতম প্রধান দুষ্কৃতী স্বপন মন্ডল ও আসাদুল ইসলাম ওরফে বাংলা রাজুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর আগেও পুলিশ আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। স্থানীয়রা দাবি করেছে, এই ২ দুষ্কৃতী এবং আগে গ্রেপ্তার হওয়া ২ দুষ্কৃতী তৃণমূল আশ্রিত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রোমোটিং সম্বন্ধিত সিন্ডিকেট বিবাদের জেরে গত শুক্রবার আনন্দপুরে গুলি চলে।
গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর গুলশান কলোনিতে হঠাৎ করেই গুলি চলে। গুলিতে আহত দুই যুবক দাবি করেছিলেন, তারা তৃণমূল কর্মী। অন্যদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছে ঘটনায় ধৃত মহম্মদ সাজিদ, নাদিম আশ্রফ, স্বপন মন্ডল ও আসাদুল হোসেন তৃণমূল আশ্রিত। তাহলে এখানে প্রশ্ন উঠেছে শুক্রবারের গুলি চলার ঘটনা কি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? কিন্তু পুলিশ সূত্রের দাবি করেছে, ফিরোজ খান ও মহম্মদ জুলকার নয়ন আলী নামক দুই প্রোমোটারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০১০ সালে একটি বহুতল বানানোর সময় কাজের মাঝেই এলাকা ছেড়ে চলে যান জুলকার। তারপর সেই নির্মানকাজ শেষ করে ফিরোজ। তারপর কিছু বছর পর জুলকার ফেরত এলে সম্পত্তির অধিকার নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। পুলিশের অনুমান, দুপক্ষের বিবাদে দলবদলের মাঝে গুলি চলেছে। অবশ্য দুই প্রোমোটার এই ঘটনায় তাদের সম্পর্ক নেই বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে। তাহলে এখন এটা বড় প্রশ্ন, এটা কি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব?