আজ পার্ক-স্ট্রিটে (Park-Street) জমায়েত নয়। বর্ষবরণের রাতে এবছর আর পার্ক-স্ট্রিটে করা যাবে না জনসমাগম, সাফ নির্দেশ কলকাতা পুলিশ প্রশাসনের। উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই কেন্দ্রের তরফেও রাজ্যে এসেছে চিঠি। কেন্দ্রের নির্দেশ, সংক্রমণ রুখতে জারি হোক কড়া বিধিনিষেধ। তৈরি করা হোক কন্টেনমেন্ট জোন, বাফার জোন। কেন্দ্রের এমন কড়া নির্দেশিকার পরেই নড়েচড়ে বসল রাজ্য। আজ দুপুরেই মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করা নিয়ে আজ এক দফায় বৈঠকে বসেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality) এবং কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)।
এই বৈঠকের পরেই নির্দেশ আজ পার্ক স্ট্রিটকে ‘নন ওয়াকিং স্ট্রিট’ করা হল। অর্থাৎ পার্ক স্ট্রিট জুড়ে আজ শুধুই চলবে গাড়ি। ফুটপাথেও করা যাবে না ভিড়। কোনওরকমের কাকুতি-মিনতি চলবে না। গার্ডরেল দিয়ে এমনভাবে পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাথকে 'নাকাবন্দি' করা হয়েছে, যেখানে পায়ে হাঁটার সুযোগ থাকছে না। এছাড়াও মাস্ক না পরলেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। তবে এসবের ফলে যান চলাচল ব্যাহত হবে না। আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতোই ওয়ান ওয়ের নিয়ম মেনেই গাড়ি চলবে পার্ক স্ট্রিটে।
এর সঙ্গেই ঘন ঘন চলছে মাইকিং। পার্ক স্ট্রিটে যাতে কেউ ভিড় না করে তার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ড্রোনের সাহায্যে চলছে নজরদারি। মজুত রয়েছে ৩০০০ পুলিশ, দু’টি কুইক রেসপন্স টিম। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকিতে নিযুক্ত ৮ জন ডিসি। এদের মধ্যে থাকবেন ২ জন মহিলা ডিসি। দায়িত্বে থাকবেন ১৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার।
এছাড়াও চৌরঙ্গি রোড ও পার্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল ও মাদার টেরেজার মূর্তি এবং মিডলটন স্ট্রিট ও চৌরঙ্গির সংযোগস্থলে পুলিশবাহিনী নিয়ে থাকবেন তিনজন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক। তাঁদের অধীনেই প্রায় ৬৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক থাকবেন। পার্ক-স্ট্রিট, শেক্সপিয়ার সরণি ও নিউ মার্কেট এলাকায় ৩০ টি পুলিশ পিকেট ছাড়াও মেট্রো স্টেশন ও বাস স্ট্যান্ডে, ৩৮ টি হোটেল, পানশালা ও নাইট ক্লাবের বাইরেও থাকবে পুলিশ পিকেট। রাতে চলবে নাকা চেকিং।