রাজ্যে আরও ২ জনের শরীরে করোনার (Covid-19) নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের হদিশ মিলল। বিদেশ ফেরত কোভিড আক্রান্ত ৩ ব্যক্তির লালারসের নমুনা ওমিক্রন সন্দেহে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে ২ জনের শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। যদিও তৃতীয় জন কোভিডের ডেল্টা রূপে আক্রান্ত। ওমিক্রন আক্রান্ত ২ জন ব্যক্তির ১ জন নাইজেরিয়া ফেরত এবং অপরজন সদ্য লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। ২ জনেই কলকাতার বাসিন্দা।
ওমিক্রন আক্রান্ত ২ ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এঁদের একজনের বয়স ৬৯ বছর। তিনি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। কোভিডের মৃদু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু উনার লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হলে সেই রিপোর্ট ওমিক্রন আক্রান্ত বলে জানায়। এরপর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লন্ডন ফেরত বছর ২০-র যুবক তিনি আলিপুরের বাসিন্দা। রবিবার তিনি লন্ডন থেকে ফেরেন। বিমানবন্দরে তাঁর আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হয় সেখানেই তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর তাঁকে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হলে সেক্ষেত্রে তিনি করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট এসেছে।
উল্লেখ্য, কোনো ব্যক্তি করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন আক্রান্ত কী না তা কেবল নিশ্চিত হওয়া যায় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের যাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেক্ষেত্রে তাঁদের বিদেশ ভ্রমণের যাবতীয় ইতিহাস সংগ্রহ করে অতি উদ্বেগজনক দেশ থেকে ফিরছেন কী না দেখা হচ্ছে। তারপর ওমিক্রন সন্দেহে তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে ওমিক্রন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। সামনেই বড়দিন এবং নতুন বছরের সেলিব্রেশন। এই সময় গোটা বিশ্বে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কথা সকলেই বলছেন। সতর্ক নাহলে বড় বিপদ সামনেই!