বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বের ৩৮ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন (Omicron)। তালিকায় আছে ভারতও। ভারতে এখনও পর্যন্ত কতজন ওমিক্রন আক্রান্ত স্পষ্ট নয়। বরং ওমিক্রন আক্রান্তের পর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কর্নাটক বিমানবন্দরে ওমিক্রন আক্রান্তদের সন্ধানে রীতিমতোই হুলস্থূল কাণ্ড! এত সচেতনতামূলক প্রচারের পরেও মানুষের এই মানসিকতায় প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।
ওমিক্রন জ্বরে যখন কাবু গোটা বিশ্ব, তখন বাংলা কী ভাবছে? পশ্চিমবঙ্গে কি এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রশাসনিক দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন রোধে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ-প্রশাসন এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই ওমিক্রন আক্রান্তে কোন ফাঁক-ফোঁকর রাখলে চলবে না। বিশেষত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে। আর রাজ্যে যদি ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মেলে বা কাউকে ওমিক্রন আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়, তাহলে তাঁকে আপাতত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রাখা হবে।
সূত্রে খবর, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড এখন আপাতত খালিই থাকে। তাই ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ পেলেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে রাখার কথা বলা হয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক প্রথমে তাঁর লালারসের সংগ্রহ করে কল্যাণীতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। তাছাড়া রাজ্যের তরফে বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নিয়ম তৈরি হয়েছে। যাঁদের কোভিডের দু'টি টিকা নেওয়া কিংবা বিমান যাত্রার ৭২ ঘন্টার মধ্যের আরটি-পিসিআর রিপোর্ট থাকবে, কেবল তাঁরাই বিমান সফর করতে পারবেন। অন্যদিকে 'অতি উদ্বেগজনক' দেশ থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে পাঠানো হবে বেলেঘাটা আইডিতে। তার পাশাপাশি রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও বাড়িতে সাত দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে। গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশেই চলবে।