দমদম (Dumdum) সেভেন ট্যাঙ্কের কাছে খোলা ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক অটোচালকের। এরপরেই শোরগোল ওঠে পুর কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক। কার দায়, কে দোষী, কীসের অবহেলা, তা নিয়ে এখন কোলাহল না করে, ভবিষ্যতে যেন এহেন ঘটনার সম্মুখীন না হতে হয়, সে ব্যাপারে নজরদারি চালাতে হবে। আরও সচেতন হতে হবে।
এরপরেই এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এবার কলকাতায় ম্যানহোলগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল লালবাজার (Lalbazar)।
শহরে কতগুলি খোলা ম্যানহোল রয়েছে, কতগুলির অবস্থা আশঙ্কাজনক, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি পরিসংখ্যান। এমন ম্যানহোলগুলি শীঘ্রই শনাক্ত করার জন্য একটি নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে প্রত্যেকটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের হাতে এসে পৌঁছে গিয়েছে।
একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভাকেও (KMC) থানাগুলির পক্ষ থেকে খোলা ম্যানহোলের তথ্য জানানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, শহরের ম্যানহোলগুলির ঢাকনা অধিকাংশই সিমেন্টের। লোহারও আছে। তবে সিমেন্টের ঢাকনা তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। আর লোহার ঢাকনা চুরি হয়ে যায়। তারপর সেগুলি কেজিদরে বিক্রি হয়। কয়েক মাস আগেই বহু লোহার ঢাকনা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ।
নির্দেশ অনুযায়ী খোলা ম্যানহোল খুঁজে, রিপোর্ট পাঠানো হবে লালবাজারে। এরপরেই বসানো হবে নতুন ঢাকনা। সঙ্গে ম্যানহোলের ঢাকনা তুলে ফেলা বা চুরি রুখতে, ম্যানহোলগুলির আশপাশে সিসিটিভি বসানোর ব্যাপারেও নেওয়া হতে পারে সিদ্ধান্ত।